মুম্বই: ‘দঙ্গল’-এ আমির খানের ফ্যাট টু ফ্যাব লুক সকলের নজর কেড়েছে। কিন্তু তাঁর ফিটনেস ভিডিও প্রশংসা কুড়নোর বদলে প্রশ্ন তুলেছে বেশি। অনেকেই জানতে চাইছেন, এত কম সময়ের মধ্যে চেহারায় এমন পরিবর্তন বাস্তবে সম্ভব কিনা। ফিটনেস কোচরা রাখঢাক না করে বলছেন, স্টেরয়েড না নিলে এমন আকাশ পাতাল পরিবর্তন সম্ভব নয়।


‘দঙ্গল’-এ আমিরের ফিটনেস কোচ হলেন মহেশ ভট্ট পুত্র রাহুল ভট্ট। মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি ডেভিড হেডলির একদা বন্ধু রাহুল আমিরের স্টেরয়েড নেওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলেননি। তবে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে মুখ খুললে গোপনীয়তা ভঙ্গ করা হবে। তিনি শুধু বলতে পারেন, বিনোদন জগতে পেশার কারণে ব্যবহার করা হয় স্টেরয়েড। এটা কেউ ব্যবহার করে না তা মনে করা বোকামি ছাড়া কিছু নয়।

তাহলে কি রাহুল ঘুরিয়ে স্বীকার করছেন, ‘দঙ্গল’-এর জন্য স্টেরয়েড নিয়েছেন আমির? তাঁর মন্তব্য, তিনি কিছু স্বীকার করেননি। কীভাবে আমিরের চেহারায় ওভাবে পরিবর্তন হল আর কীভাবে একজন অভিনেতা প্রয়োজনীয় চেহারা পান, তা শুধু তাঁর নিজের ও তাঁর ফিটনেস কোচের ব্যাপার। এ ব্যাপারে সব কিছু বলে ফেলার স্বাধীনতা তাঁর নেই।

রাহুল আরও বলেছেন, যদি তাঁর ছেলে থাকত, তবে তাকে স্টেরয়েড ব্যবহার করতে তিনি কখনও দিতেন না। একমাত্র একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফিটনেস কোচই ছাত্রছাত্রীকে সঠিক পথ দেখিয়ে কাঙ্খিত চেহারা দিতে পারেন।