Abhijaan Exclusive: 'নিজের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য যীশুকে বেছে নিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়'

Abhijaan Exclusive: ছবি তৈরির আগের কথোপকথন, চিত্রনাট্য তৈরি, অভিনেতা বাছাই, সবই ছবির মত মনে আছে পরিচালক পরমব্রতর। 'অভিযান' কখনও দেখবেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজে, রয়ে গিয়েছে সেই ক্ষতও। এবিপি লাইভের সঙ্গে নতুন ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিজ্ঞতার ঝুলি উপুড় করে দিলেন পরমব্রত। 

Continues below advertisement

কলকাতা: পর্দায় তাঁরই হাত ধরে বাঙালির কিংবদন্তি ফিরবেন নিজের গল্প বলতে। দীর্ঘদিনের শ্যুটিং, জীবনের গল্প বলার গুরুদায়িত্বে কতটা সফল হলেন পরিচালক, দর্শক সেই বিচার করবেন ১৫ এপ্রিল। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের (Parambrata Chatterjee) পরিচালনায় মুক্তি পাচ্ছে 'অভিযান'। চেনা অচেনা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) জীবন এই ছবির হাত ধরেই উঠে আসবে রুপোলি পর্দায়। 

Continues below advertisement

ছবি তৈরির আগের কথোপকথন, চিত্রনাট্য তৈরি, অভিনেতা বাছাই, সবই ছবির মত মনে আছে পরিচালক পরমব্রতর। 'অভিযান' কখনও দেখবেন না সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজে, রয়ে গিয়েছে সেই ক্ষতও। এবিপি লাইভের সঙ্গে নতুন ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিজ্ঞতার ঝুলি উপুড় করে দিলেন পরমব্রত। 

আরও পড়ুন: 'অভিনেতা না হলে শিক্ষক বা মিউজিশিয়ান হতাম'

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অল্পবয়সের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত (Jissu Sengupta)। এই বাছাই কী পরিচালকের নিজের? পরমব্রতর উত্তর দিলেন, 'নাহ.. এই পছন্দ সৌমিত্র জ্যেঠুর নিজেরই। ওনার ছবির আর কোনও বিষয় নিয়ে বক্তব্য ছিল না, কিন্তু তাঁর অল্প বয়সের চরিত্রটি কে করবেন, সেটা নিয়ে মতামত ছিল। আমি ওনাকে ৩-৪টে নাম বলেছিলাম। তার মধ্যে উনি বললেন, 'এই ছবিতে আমার যুবক বয়সের অভিনয় হয় তুই করবি না হয় যীশু। যদি আমার জীবনদর্শককে ধরতে হয়, তাহলে তুই (পরমব্রত) সবচেয়ে সেরা পছন্দ। আর চেহারার দিক দিয়ে সাদৃশ্য পেতে হলে যীশুকে পছন্দ করব।' যীশুর আগে থেকেই এই ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল, তবে তা অতিথি শিল্পী হিসেবে। হঠাৎই ওকে আমি ফোন করে বলি প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের কথা। প্রথমটা বেশ চমকে গিয়েছিল যীশু। তারপর অবশ্য আমাদের দুজনের ডেট পেতে একটু বেগ পেতে হয়েছিল। অবশেষে ছবিটা হয়।' 

'অভিযান' -এর আরও অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে পরমব্রত বলছেন, 'চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি শ্যুটিং করতে পারতেন না সৌমিত্র জ্যেঠু। ওনাকে নিয়ে ছবি বলে উনি একটু বেশি সময় দিতে রাজি ছিলেন। কিন্তু ৪ ঘণ্টার বেশি কাজ ওনার শরীরে সহ্য হত না। ৪ ঘণ্টা হয়ে গেলেই উনি ভুলে যেতেন বা পরিশ্রান্ত বোধ করতেন। তাই ৪ ঘণ্টা কাজের মধ্যে দিয়েই ওনার অংশের শ্যুটিং শেষ করতে হয়েছিল। শ্যুটিং করতে গিয়ে ওনাকে আলাদা করে চেনার সুযোগ হল না।'

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola