কলকাতা: মায়ার বাঁধন কাটিয়ে চলে গেলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বাংলা বিনোদন দুনিয়ার আর একটি তারা নিভে গেল। আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। বুধবারেও শ্যুটিং করছিলেন তিনি। তবে দুপুর থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করায় বাড়ি ফিরে আসেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরিবর্তে নিজের বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে চান তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রাত ১ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে ট্যুইট করে শোকবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শোকজ্ঞাপন ঋতুপর্ণার
টেলিফোনে শোকজ্ঞাপন করে তাঁর সঙ্গে অভিনয়ের স্মৃতিচারণ করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। শোকবিহ্বল অভিনেত্রী বলেন, "সকালেই খবরটা পেলাম। কিন্তু সত্যিই বিশ্বাস করতে পারিনি। বারবার বলছিলাম খবরটা সত্যি কি না। অভিষেক আমাদের চট্টোপাধ্যায় আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একজন অন্যতম অভিনেতা। বাংলা ছবিতে অনেক অনেক কনট্রিবিউশন রয়েছে। আমাদের সকলের ওঁকে সম্মানের সঙ্গে মনে রাখা উচিত। যেখানেই থাকুক ভাল থাকুক, শান্তিতে থাকুক। আমার জীবনে কিছু শ্রেষ্ঠ ছবি ওঁর সঙ্গে করা। সুজন সখী থেকে লাঠি আরও অনেক। গুনে শেষ করতে পারব না। অনেক অনেক কাজ করেছি একসঙ্গে। একজন সরল মানুষ, পরোপকারী, সেটে খুব মজা করত, আমাদের জন্য রান্না করে নিজে খাওয়ার নিয়ে আসতেন।"
আরও পড়ুন, 'রিয়েল লাইফেও ছিলেন বাবা,' অভিষেকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তৃণা সাহা
অভিষেকের অভিনয় জীবন
বাংলা সিনেমায় একটা সময়ে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ১৯৮৬-তে তরুণ মজুমদারের ছবি পথভোলা দিয়ে তাঁর সিনেমায় যাত্রা শুরু। এরপর ‘ওরা চারজন’, ‘অমর প্রেম’, ‘ইন্দ্রজিৎ’, ‘মায়াবিনী’, ‘শক্তি’, ‘রাজার রাজা’ ‘সংঘর্ষ’, ‘লাঠি’, ‘ভাই আমার ভাই-এর মতো বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন। দহন, বাড়িওয়ালি, আলোর মতো একাধিক ছবিতে তাঁর অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সিনেমার পর বাংলা টেলিভিশনেও নজর কেড়েছেন অভিষেক। ‘টাপুর টুপুর’, ‘আঁচল’, ‘চোখের তারা তুই’, ‘অন্দরমহল’, ‘মোহর’, ‘খড়কুটো’-র মতো বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।
অভিষেকের মৃত্যুতে টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়ায় শোকের ছায়া। আজই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।