কলকাতা: দূরে দাঁড়িয়ে থাকত ছোট্ট ইউভান। কাচের ওপার থেকে দেখতেন করোনা আক্রান্ত শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। মনখারাপ হত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউভানের ছবি শেয়ার করে উগরে দিতেন সেই মনখারাপ। কেমন ছিল বন্ধ ঘরে কাটানো ১৭টা দিন? এবিপি লাইভকে সেই অভিজ্ঞতার কথা বলছেন শুভশ্রী।


নির্বাচনের আগে প্রচারের কাজে বাইরে থাকতে হয়েছিল রাজ চক্রবর্তীকে। ছোট্ট ইউভান বাড়িতে, কিন্তু তার কাছে যাওয়ার উপায় নেই। করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকতে হয়েছে আইসোলেশানে। কতটা উদ্বেগের মধ্যে কেটেছে দিনগুলো? শুভশ্রী বলছেন, 'খুব কঠিন একটা সময় পেরিয়ে এসেছি। কিন্তু আমি সবসময় চেষ্টা করি ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতে। যখন যে পরিস্থিতিতে থাকি, চেষ্টা করি তার ভালো দিকগুলো ভাবার। করোনা পরিস্থিতি আমায় শেখালো, খারাপ সময়ে কী করে বাড়ির সদস্যদের মানসিকভাবে চাঙ্গা আর সুরক্ষিত রাখা যায়। একটা ঘরে বসেই আমি গোটা পরিবারটাকে সামলাতাম। তবে হ্যাঁ, ইউভানকে ভীষণ, ভীষণ মিস করেছি। কোভিডের থেকেও সেটা অনেক বেশি কষ্টের ছিল আমার কাছে। তবে ইউভান খুব সাপোর্ট করেছে আমায়। ও সব বোঝে। দূর থেকে আমাকে দেখত, হয়ত অভিমান করত। ভাবত কেন মা  আমাকে কাছে নিচ্ছে না। কিন্তু একবারের জন্যও কাঁদেনি কোনওদিন। বুঝতে দিত না ও আমায় ছাড়া খারাপ আছে। একেবারে বাবার মত সংবেদনশীল।'


করোনা নিয়ে আতঙ্কে গোটা পৃথিবী। দেখা গিয়েছে, অনেকের স্বাস্থ্য ঠিক থাকার পরেও অনেকের শ্বাসকষ্ট শুরু হচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ঠিক কেমন অভিজ্ঞতা হল শুভশ্রীর? সত্যিই কী সেই অভিজ্ঞতা আতঙ্কের? নায়িকা বলছেন, 'খুব কঠিন পরিস্থিতি। এই সময় আমাদের সবাইকে শক্ত থাকতে হবে। একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমি সবাইকে একটা কথাই বলব, শুধু শুধু ভয় পাবেন না। বাড়িতে আইসোলেশানে থাকলে, সময় মত ওষুধ খেলে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলে অনেক মানুষই সুস্থ হয়ে উঠছেন। খুব বাড়াবাড়ি না হলে হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেই চিকিৎসকের নজরদারিতে থাকুন, বারবার অক্সিমিটারে অক্সিজেন লেভেল দেখে নিন। পুষ্টিকর খাবার খান। আর যদি কাউকে কোনওভাবে সাহায্য করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই করুন। সবাই ভালো থাকুন। আর মনে রাখবেন, রাতের পর দিন আসে। এই সময়টা পেরিয়ে যাবে ঠিক।‘