কলকাতা: ছোটবেলা থেকে সায়েন্স ফিকশানের ছবি দেখতে ভালোবাসতেন। বিদেশি ছবি দেখতে দেখতে তাঁর মনে হত, বাংলায় কেন এমন ছবি হয় না? পরে বুঝেছিলেন, তার এর একটা বড় কারণ হল বাজেট। আর তাই যখন পেশা হিসাবে পরিচালনাকে বেছে নিলেন, তখন ছোট বাজেটে বাংলায় সায়েন্স ফিকশান বানানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন রাহুল মুখোপাধ্যায়।


'চঙ চঙ'। নামটার মানে কী? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে হাসতে হাসতে রাহুল বললেন, 'এটা একটা শব্দ। আমার কাছে প্রত্যেকটা কাজের নামটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার পরিচালিত প্রথম ধারাবাহিক 'ইষ্টিকুটুম'-এর নামটা আকর্ষণীয় ছিল। নতুন ছবি 'কিশমিশ' নামটাও অন্যরকম। দর্শকদের মনে ছাপ ফেলবে এমন নাম বাছার চেষ্টা করি আমি। চঙ চঙ শব্দটা আমরা ব্যবহার করি কোনও বড় জিনিসের ঘোরার আওয়াজ বোঝাতে। পৃথিবী ঘুরছে যেন।'


ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কা সরকারকে। তাঁর চরিত্রের নাম 'কোটি'। পরিচালক বলছেন, 'এই গল্পটা কোটিরই। গল্পটা শুরু হলে ২০২২ থেকে। পৃথিবীর তখন অদ্ভুত পরিস্থিতি। এরপরেই আমরা ফিরে যাব ১৯৯৭-এ।সায়েন্স ফিকশান হলেও সেখানে প্রেম আছে, সম্পর্কের টানাপোড়েন আছে।  পুরনো কলকাতা তুলে ধরতে এই ছবিতে ভিএফএক্সের বেশ কিছুটা সাহায্য নিতে হবে। কলকাতার বেশ কিছু অংশে শ্যুটিং করব আমরা। তবে বেশিরভাগ শ্যুটিং করার জন্য শ্রীরামপুরে জায়গা খুঁজছি। ওই অংশটায় যেন একটা পুরনো কলকাতা লুকিয়ে রয়েছে। অনেক খুঁজে তবে এক একটা জায়গা পছন্দ হচ্ছে।'


কেবল সায়েন্স ফিকশান নয়, রাহুলের এই ছবিতে রয়েছে আরও এক চমক। ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে বলিউড অভিনেতা সৌরভ শুক্লাকে। এই খবর অবশ্য ফাঁস করেন ছবির প্রযোজক রানা সরকার। এবিপি লাইভকে প্রযোজক জানিয়েছেন, তাঁর হাতে থাকা অনেকগুলি কাজের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল 'চঙ চঙ' ছবিটি। একেবারে অন্যধারার এই ছবিতে সৌরভ শুক্লার উপস্থিতি দর্শকদের অবশ্যই ভালো লাগবে বলে আশা প্রযোজকের।


আর পরিচালক? তিনি বলছেন, 'আমার ছবির জন্য যেমন চরিত্রের দরকার ছিল তার জন্য সৌরভ শুক্লা আদর্শ। উনি যেমন মানুষ, ওনার যেমন ব্যক্তিত্ব সবটাই আমার গল্পের চরিত্রের সঙ্গে মিলে যায়। সেজন্যই ওনাকে কাস্ট করার কথা ভাবি।' আর প্রিয়ঙ্কার বিপরীতে অভিনয় করতে কাকে দেখা যাবে? রাহুল বললেন, 'ওটা একটু রহস্যই থাক এখন। অক্টোবরে শ্যুটিং শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার আগে অবশ্যই জানা যাবে।'