কলকাতা: 'অপরাজিত' (Aparajito) জিতু এবার সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের (Doctor) ভূমিকায়। ছবির নাম 'সেদিন কুয়াশা ছিল' (Sedin Kuyasha Chilo)। অর্ণব মিদ্যার (Arnab Middya) পরিচালনায় এই ছবিতে আরও একবার দর্শকদের মন জয় করতে আসছেন অভিনেতা জিতু কামাল (Jeetu Kamal)।


ভিন্ন চরিত্রে জিতু


অর্ণব মিদ্যার ছবি 'সেদিন কুয়াশা ছিল' তিনটি গল্পের সমাহার। তারই একটি গল্পে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের (doctor) চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিতু কামাল। গ্রামের বাড়ি ছেড়ে সে চাকরিসূত্রে কলকাতাবাসী। এখানেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে তার বাস।


শিরদাঁড়া সোজা রেখে চললেও বউকে খানিক ভয় পেয়েই চলে এই চরিত্র। পরিচালকের কথায়, 'জিতুর চরিত্রের কিছু স্তর রয়েছে। ওঁর চরিত্রে অদ্ভুত একটা অসম্পূর্ণতা আছে, স্ত্রীকে দেখে চোখে ভয় আছে। কিন্তু বাড়িতে বাবা-মা এলে তাঁদের প্রতি দায়িত্ব পালনও সে করছে। হয়তো পারিপার্শ্বিক অন্যান্য কারণের জন্য বাবা-মার প্রতি সেই সময় দেওয়াটা সম্ভব হয়ে ওঠে না, যা আমরা আমাদের চাকরিজীবনে প্রায়ই দেখে থাকি।'


অর্ণবের কথায়, 'সব সন্তান কু-সন্তান নয়। কিছু সন্তান আছে যাঁরা চায় বাবা-মাকে সময় দিতে কিন্তু বিভিন্ন চাপে সবসময় তা পেরে ওঠে না।'


জিতুর চরিত্রের মধ্যে দর্শক একপ্রকার কমেডি বা হাস্যরস যেমন খুঁজে পাবেন তেমনই তাঁর চরিত্র ক্রমাগত যে টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যাবে তার সঙ্গে একাত্মও হতে পারবেন।


ডাবিংয়ে জিতু


ছবির ডাবিংয়ের (Dubbing) কাজ শুরু হয়েছে। জিতু কামালের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'অপরাজিত'-এ তিনি অভিনয় দিয়ে মন জয় করেছিলেন দর্শকের। তার আগে একাধিক ছবিতে নিজের কণ্ঠ থাকলেও বিপুল সফল 'অপরাজিত' ছবিতে জিতুর মুখে শোনা গিয়েছিল চন্দ্রাশিষ রায়ের গলা। তবে এবার ফের 'সেদিন কুয়াশা ছিল' ছবিতে নিজের চরিত্রের জন্য নিজেই সারলেন ডাবিং। সেই ছবি প্রথম এবিপি লাইভই দেখাচ্ছে আপনাদের।




ছবিতে জিতু কামালের বাবা ও মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে কিংবদন্তি দুই শিল্পীকে। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও লিলি চক্রবর্তী। তাঁদের এই সংসারিক টানাপোড়েনের গল্পেই অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করবে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাতনি, পৃথা। জিতুর মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে ছোট্ট পৃথাকে। 


আরও পড়ুন: Shamita Shetty: বিচ্ছেদের জল্পনায় শিলমোহর! 'আমি আর রাকেশ একসঙ্গে নেই', জানিয়ে দিলেন শমিতা