কলকাতা: শহর জুড়ে কেবলই কোভিড আতঙ্ক। করোনাকালে কমছে শরীরে অক্সিজেনের মাত্র, বাড়ছে চাহিদা। প্রাণ কাড়লেও করোনা শিখিয়েছে পরস্পরের পাশে থাকতে। আর এই কঠিন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন টলিউডের একাধিক তারকা। নিজেদের উদ্যোগেই একটি ইন্টেরিম রিলিফ সেন্টার তৈরী করে ফেলেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায়, পিয়া চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা।


করোনা আক্রান্তের শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি সাহায্যের হাত বাড়াবে ‘সিটিজেন্স রেসপন্স’ -এর এই রিলিফ সেন্টার। ব্যবস্থা রয়েছে অক্সিজেন সাপোর্ট থেকে শুরু করে প্রাথমিক চিকিৎসারও। ১৫দিনেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই সেন্টার। ইতিমধ্যেই বেডের সংখ্যা ৫টি থেকে বাড়িয়ে ৭টি করা হয়েছে। কেমন কাজ চলছে এখানে? অনুপম বলছেন, 'এখানে সাধারণত ২ ধরণের মানুষ কাজ করছেন। চিকিৎসক, আয়া ও নার্সরা রয়েছেন। তাঁরা পিপিই কিট পরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আর রয়েছেন ভলিন্টিয়ার্সরা। তাঁরা সমস্ত বিষয়ে দেখাশোনা করছেন। আমরাও যাচ্ছি।' পরমব্রত বলছেন, 'আমাদের আরও শাখা খোলার কথা হয়েছে। একটা মোবাইল ইউনিট বানানোর কথাও ভাবা হয়েছে। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর নিয়ে যাতে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়।' 'তবে আমরা চাই, বেডগুলো তাড়াতাড়ি ফাঁকা হয়ে যাক।', যোগ করলেন অনুপম।


লকডাউনের জন্য কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পরমব্রত, অনুপমদের। যানবাহনের সমস্যার জন্য আসতে পারেছিলেন না অনেকে। তবে মিটেছে সেই সমস্য়াও। পরমব্রত জানালেন, গাড়ির জন্য পুলিশের থেকে অনুমতি করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন স্বেচ্ছাসেবক থেকে শুরু করে চিকিৎসক, কারোরই আসতে সমস্যা নেই কোনও। ইন্টেরিম রিলিফ সেন্টার একটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পরমব্রত বলছেন, 'সৌরভদা একটা কনসেনট্রেটর দিয়েছেন। অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সেটা আমরা গ্রহণ করেছি। অন্যান্য অনেক জায়গাতেই উনি কনসেনট্রেটর দিয়েছেন। সেই তালিকায় আমাদের রাখার জন্য ওনাকে ধন্যবাদ।'  হেল্থ এন্ড ইকো ডিফেন্স সোশ্যাইটি ও বঙ্গ সংস্কৃতি মঞ্চের সাহায্যের কথাও উল্লেখ করলেন অনুপম।


রিলিফ সেন্টার থেকে মানুষ যখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন, সেই অভিজ্ঞতাটা কেমন? পরমব্রত বলছেন, 'জীবনে অনেকরকম অভিজ্ঞতা হয়, কিন্তু এই ধরণের অনুভূতি খুব কম। মানুষের এতটা কৃতজ্ঞতা বা ভালোবাসা পাওয়া খুব দুর্লভ। তবে ওখানে যাঁরা দিবারাত্র রাজ করছেন আমি চাই তাঁরাই বেশি ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পান।'