কলকাতা: প্রচার শেষ করে সোফায় গা এলিয়ে বসেছেন দুজনেই। পাঁচ বছর পর একসঙ্গে কাজ, প্রচারে আসা। একে অপরের সঙ্গে বেশ সাবলীলই দেখাচ্ছিল তাঁদের। আজ মুক্তি পেল এসভিএফ মিউজিকের দ্বিতীয় মিউজিক ভিডিও 'ও মন রে'। আর সেই গানে অনুরাগীদের অনুরোধে পর্দায় ফিরল যশোমিতা জুটি। কফির কাপে চুমুক দিয়ে এবিপি লাইভের সঙ্গে শুরু হল আড্ডা। পাঁচ বছর আগেকার স্মৃতি উস্কে গল্প শোনালেন মধুমিতা সরকার ও যশ দাশগুপ্ত।
মিউজিক ভিডিওতে জুটি বাঁধার অফার পেয়ে কেমন লেগেছিল? মধুমিতা বললেন, 'প্রথমবার যখন অফার আসে, আমি কনটেন্টটা দেখতে চেয়েছিলাম। তোমার কাছেও বোধ হয় তাই?' যশ বলে উঠলেন, 'আমাকে প্রথমে অফার করেছিল, টাকার চূড়ান্ত রফা হয়েছিল, তারপর।' মধুমিতা ফের বললেন, 'আমি বরাবরই তনভীরের ভক্ত। ও এই গানটা গেয়েছে শুনেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর শুনেছিলাম গানে আমার বিপরীতে অভিনয় করছে যশ। খুব চেষ্টা করেছি, আমার দিক থেকে কোনও ভুল যেন না হয়। আর হ্যাঁ, আমায় যেন মোটা না লাগে। তবে হ্যাঁ, শ্যুট হয়ে যাওয়ার পর দেখলাম আমায় পারফেক্ট লাগছে। যশকেও পারফেক্ট লাগছে। আর শ্যুটটাও পারফেক্টভাবেই হয়ে গেল। ভীষণ খুশি আমি।' এবার যশের পালা। মধুমিতার কথায় এমনই হারিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা, একবার ফের জিজ্ঞাসা করে নিলেন প্রশ্নটা। তারপর বললেন, 'মধুমিতা আর যশ একসঙ্গে পর্দায় ফিরছে বলেই যে একটা বিশাল ব্যাপার সেটা আমি বিশ্বাস করি না। আমরাই দর্শকদের মনে একটা প্রত্যাশা তৈরি করেছি অনুরাগীদের মধ্যে। ৫ বছর পর আবার পর্দায় ফিরছি। পুরনো কাজকে ছাপিয়ে যাওয়ার দায়িত্বও আমাদের।'
পাঁচ বছর পরে পর্দায় ফিরে একে অপরের সঙ্গে অভিনয় করতে সমস্যায় পড়েছিলেন? যশ বলছেন, ' প্রথম কয়েকটা শটে একটু বাধো বাধো লাগে। অনেকদিন পর একসঙ্গে অভিনয় করছি। কিন্তু সাঁতার শিখলে কেউ সাঁতার ভোলে না। কয়েকটা শটের পরেই গোটা শ্যুটটা মাখনের মত মসৃণভাবেই হয়ে গেল। আর গোটা টিমটা এত ভালো ছিল, খুব মজা করে কাজ করেছি। একই সুর মধুমিতার গলাতেও। বললেন, 'রোম্যান্স নিয়ে আমরা এর আগেও কাজ করেছি। তবে এবারে আমরা অনেকটা অভিজ্ঞ। সেটাই কাজে লেগেছে। খুব স্বাভাবিক আবেগের সঙ্গেই যেন কাজটা করে ফেললাম। আলাদা করে অভিনয় করতে হয়নি।'
ধারাবাহিক থেকে মিউজিক ভিডিও। কতটা বদলাল যশ-মধুমিতা? মধুমিতা বলছেন, 'টেলিভিশনে কাজের সময় রোজ দেখা হত, ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্যুটও হত। কিন্তু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার ধরণ আলাদা। শেষটা জানি বলে আলোচনা করে অভিনয় করা যায়।' যশ যোগ করলেন, 'একদম ঠিক। ছোটপর্দায় দিন রাত কাজ করছি, ৪ ঘণ্টা ঘুমাচ্ছি.. এতে বিরক্তি অনেক বেশি হয়। এই কারণেই অনেক সময় টিভিতে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। সিনেমায় এই জিনিসটা হয় না। আগের থেকে আমি আর মধুমিতা দুজনেই মানসিকভাবে ভালো আছি। আর তাই কাজটাও ভালো হচ্ছে।'
ছোটপর্দা, মিউজিক ভিডিও..এরপর? বড়পর্দায় কেমন ছবির জন্য জুটি বাঁধতে চান যশোমিতা? হাসতে হাসতে যশের উত্তর, 'হরর'। সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দিয়ে মধুমিতা বললেন, 'না বাবা, ভূত সাজতে পারছি না। তার চেয়ে যদি কোনও ডার্ক চরিত্র হত। ছবির শেষে হয়ত খুনই করে দিলাম।'