মুম্বই : বাড়িতে বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ মাদক রাখার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিনেতা আরমান কোহলি (Armaan Kohli)। এবার তাঁকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে নিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। 


অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অকালমৃত্যুর পর থেকেই বলিউডে মাদক যোগের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় হয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। শনিবার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী অজয় সিংহ রাজু গ্রেফতার হওয়ার পরই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে অভিনেতা আরমান কোহলির নাম। অভিনেতার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে স্বল্প পরিমাণে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করে সংস্থা। আরমান কোহলির বাড়ি থেকে যে মাদক উদ্ধার হয়েছে, জানা যাচ্ছে তার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার যোগ রয়েছে। এরপরই অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় এনসিবি। কিন্তু এনসিবি কর্তাদের প্রশ্নের সঠিক জবাব না দিতে পারায় তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিনেতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনসিবি। 



প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল মাদক মামলায় গ্রেফতার হন বলিউডের অপর এক অভিনেতা এজাজ খান (Ejaz Khan)। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোকে দেওয়া বয়ানে তিনি জানিয়েছেন, গৌরব দীক্ষিতের কাছ থেকে মাদক কিনতেন। এরপরই ৩ এপ্রিল গৌরবের বাড়িতে তল্লাশি চালায় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। তাঁর বাড়ি থেকে দেড় লক্ষ টাকার মাদক উদ্ধার হয়। জেরার মুখে এজাজ খান জানিয়েছিলেন, গৌরব দীক্ষিত বলিউডের আরও অনেককেই মাদক সরবরাহ করেন। ৩ এপ্রিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর একটা দল লোখন্ডওয়ালায় গৌরব দীক্ষিতের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। যদিও অভিনেতা তখন বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। তল্লাশি চালিয়ে অভিনেতার বাড়ি থেকেও প্যাকেটজাত অবস্থায় অনেক মাদক উদ্ধার হয়। সমীর ওয়াংখেড়ে বলছেন, ‘সেই সময়ে বান্ধবীর সঙ্গে ছিলেন গৌরব। বাড়িতে ঢোকার সময় যখন তাঁরা পুলিশের গাড়ি দেখতে পান, তখনই দু’জন সেখান থেকে পালিয়ে যান।' এরপরই শনিবার গ্রেফতার হন গৌরব দীক্ষিত।