মুম্বই : গুলিবিদ্ধ অভিনেতা গোবিন্দ (Actor Govinda )। মঙ্গলবার সাত সকালেই লাগল গুলি। বেরোচ্ছিলেন শুটিংয়ে। সেই সময়ই এই ঘটনা। ভোর তখন ৫ টা। সূত্রের খবর, নিজের কাছেই বন্দুক রাখতেন অভিনেতা। কাজে বেরোনোর সময় কোনওভাবে 'ভুলক্রমে' বন্দুক থেকে গুলি বের হয়ে যায়। নিজের বন্দুকের গুলি সোজা এসে লাগে তাঁর পায়েই। গুলিবিদ্ধ হয়ে যন্ত্রণায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। অভিনেতা গোবিন্দকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে, এখন অভিনেতার পা থেকে গলগল করে রক্ত বের হয়। শরীর থেকে অনেকটা রক্ত বের হয়ে যাওয়ায় বেশ অসুস্থ তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। বন্দুকটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
অভিনেতার পা থেকে গুলি বার করা হয়েছে। আপাতত তিনি বিপদমুক্ত। আজ সকালে কলকাতা আসার জন্য় তৈরি হচ্ছিলেন তিনি। তখনই ঘটে এই বিপত্তি, দাবি ম্যানেজারের।
সূত্রের খবর গোবিন্দর যখন গুলি লাগে, তখন তাঁর স্ত্রী সুনিতা বাড়িতে ছিলেন না। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর, অভিনেতা প্রথম ডেকেছিলেন তাঁঁর ভাই কীর্তি কুমারকে। ভাই তড়িঘড়ি করে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান। তিন-চারজন মিলে গোবিন্দকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন।
কীর্তি কুমার এবিপি নিউজকে জানান, 'অপারেশনের পর গোবিন্দ এখন ভাল আছেন, তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছেন এবং চিকিৎসকরা তার সম্পূর্ণ খেয়াল রাখছেন। চিন্তার কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, সৌভাগ্যক্রমে আঘাত খুব একটা গুরুতর ছিল না ।
পুলিশ জানায়, গুলি চালানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোবিন্দের বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গোবিন্দের পা থেকে প্রচুর রক্তপাত হয়েছিল। বর্তমানে গোবিন্দ আন্ধেরির কৃতি কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের জবানবন্দি রেকর্ড করবে।
গোবিন্দের ম্যানেজার শশী সিনহা এবিপি লাইভকে জানান, অভিনেতার এখন সঙ্কটমুক্ত। তিনি কলকাতায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। রিভলভারটা পরিষ্কার করে আলমারিতে রাখছিলেন। এ সময় পিস্তলটি মাটিতে পড়ে যায়, সেই সময়ই গুলি বেরিয়ে আসে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
গোবিন্দর মেয়ে টিনা আহুজা ফোনে এবিপি নিউজকে বলেন, 'বর্তমানে আমি আমার বাবার সঙ্গে আইসিইউতে আছি। এখন বেশি কথা বলতে পারছি না। তবে বলে রাখি বাবার স্বাস্থ্য আগের থেকে অনেক ভাল। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বাবার অপারেশন করা হয় এবং অপারেশন সফল হয়েছে। '
টিনা আরও বলেন, 'ডাক্তাররা সব পরীক্ষা করেছেন, রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। বাবা অন্তত ২৪ ঘণ্টা আইসিইউতে থাকবেন। ২৪ ঘন্টা পরে ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেবেন বাবাকে আইসিইউতেই রাখবেন কি না।
আরও পড়ুন :