মুম্বই: ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিও। একটা মোবাইল স্ক্রিন। অবিরাম এসে চলেছে ফোন, মেসেজ। গোটা ভিডিও জুড়ে কেবল নোটিফিকেশনের আওয়াজ। নিজের মোবাইলের অবস্থার ছোট্ট ভিডিও রেকর্ড করে পোস্ট করলেন সোনু সুদ। লিখলেন, 'এই গতিতে সাহায্যের আবেদন আসছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করচি সবাইকে সাহায্য় করার।'
তিনি করোনাকালের 'মসিহা'। সোনু সুদ। বলিউডের খলনায়ক এখন বাস্তবে অনেকেই কাছেই নায়ক। অক্সিজেন, বেড, রেমডিসিভির, চিকিৎসা, খাবার, পরিবহণ... মুশকিল আসান সোনু সুদ। সাহায্যের আবেদন এলেই যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন তিনি। সম্প্রতি নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সেরেও উঠেছেন। কিন্তু থেমে থাকেনি তাঁর সাহায্য। করোনা পরিস্থিতিতেও ক্রমাগত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন তিনি। করোনা আক্রান্ত যুবতীকে এয়ারলিফ্ট করে নাগপুর থেকে হায়দরাবাদ পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছোট্ট ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। ৪৬ সেকেন্ডের ভিডিও জুড়ে ক্রমাগত আসছে মেসেজ, ফোন। ভিডিওটি শেয়ার করে সোনু লিখেছেন, 'এই গতিতে সাহায্যের আবেদন আসছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি সবাইকে সাহায্য় করার। যদি কারোও সাহায্যের উত্তর না দিতে পারি আমাদের ক্ষমা করবেন।' এর কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ট্যুইট করেছিলেন সোনু সুদ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, রাতে ঘুমাতে পারছেন না তিনি। সারাদিন মানুষের সাহায্যের আর্তি আসছে।
গোটা দিন জুড়ে হাসপাতালে বেড, রেমডেসিভির ও অক্সিজেন যোগাতে ব্যস্ত থেকেছেন তিনি। কখনও প্রয়োজন মত যোগান দিতে না পারার হতাশা ঝরে পড়েছে তাঁর লেখায়। ট্যুইট করে লিখেছেন, 'আজকে হাসপাতালের বেডের প্রয়োজন ছিল ৫৭০টা। আমি মাত্র ১১২টি বেডের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আজ ১৪৭৭ রেমডেসিভির প্রয়োজন ছিল। আমি মাত্র ১৮টা জোগাড় করে দিতে পেরেছি। হ্যাঁ, আমরা হেরে গিয়েছি। আর আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও।' আবার কখনও তাঁর ট্যুইটেই শোনা গিয়েছে আশার কথা। সোনু গতকালই একটি ট্যুইট করে লিখেছেন, 'অক্সিজেন, রেমডিসিভির আর বেড। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যবস্থা চলছে। কখনও আমি জিতি, কখনও হেরে যাই। আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছি। সবসময় পাশে রয়েছি।'