ক্লাস ১১ এ পড়াকালীন প্রথম ক্যান্সারে আক্রান্ত ১৭ বছরের ঐন্দ্রিলা। তারপর দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে মারণ রোগ ক্যান্সারের একটানা লড়াই করে ২০১৫ সালে মারণ রোগকে পিছনে ফেলে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন টলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তারপর পড়াশোনা আর অভিনয় নিয়ে সবকিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু কয়েকবছর যেতে না যেতে ফের তাল কাটল। 


পাঁচ বছরের মাথায় দ্বিতীয় বার একই মারণ রোগে আক্রান্ত হলেন  ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকের জাহ্নবী। আচমকা কাঁধে  মারাত্মক ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। সম্প্রতি দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর ডানদিকের ফুসফুসে টিউমার হয়েছে। এবং সেখান থেকে ব্যথার সূত্রপাত। অভিনেত্রীর বায়োপসি রিপোর্টে জানা গেছে  দ্বিতীয়বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।


যুদ্ধ চলছে অবিরত। জীবনের প্রতি মুহূর্তে দিতে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষা। লড়াই কবে শেষ হবে তারই অপেক্ষায় দিন গুনছে টলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। দ্বিতীয় বার এই রোগে আক্রান্ত কষ্টে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায়া লাইভে এসে নিজের অনুগামীদের সঙ্গে রোগের কথা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। কথা বলতে গিয়ে  প্রকাশ্যেই কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী।  সকলকেই ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করার অনুরোধ করেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর সুস্থতা নিয়ে তার অনুরাগীরাও যথেষ্ঠ চিন্তিত। সকলেই তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।


তবে  এই কঠিন সময়ে অভিনেত্রীর বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী অর্থাৎ ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-ধারাবাহিকের বামা ক্ষ্যাপা‌ পাশে দাঁড়ালেন ঐন্দ্রিলার। বহু বছর ধরে ছিল এদের প্রেমের সম্পর্ক কিন্তু কোনোদিন নিজেদের প্রেম প্রকাশ্যে আসেননি৷ কিন্তু ঐন্দ্রিলার জন্য দিল্লিতে গিয়ে প্রেমিকার মনোবল বাড়াতে চলে গিয়েছিলেন সব্যসাচী। দিল্লির চিকিৎসক জানিয়েছেন, অভিনেত্রীকে মোট চারটে কেমো সাইকেল নিতে হবে প্রথম কেমোটি বেশ সাফল্য পায়। দ্বিতীয়টি শুরু হবে কিছু দিন পর। তবে এর মাঝেই জিয়নকাঠি শুটে ফিরেছেন তিনি। ঐন্দ্রিলার কথায়, “কষ্ট হবে, কষ্ট সহ্য করতে হবে এর পরেই খুশির দিন আসবে।” আর এই খুশির জন্য অপেক্ষা করছে সক্কলে। এক সাক্ষাৎকারে সব্যসাচীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এই কঠিন সময়ে অভিনেত্রীকে কোন জিনিস মুখে হাসি আনে।


এবার সেই উত্তর দেন টেলিভিশনের বামা নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে। ইনস্টাগ্রামে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ছবি শেয়ার করে  সব্যসাচী তাঁর হাসির রহস্য উন্মোচন করলেন। লিখেছেন, “এই হাসির জন্যই কাজ করে ও।” অর্থাৎ কাজই তাঁর ভাল থাকার আসল রসদ। আর এই কঠিন সময়ে পাশে যদি থকেন মনের মানুষ থাকে তাহলে তো আর কিছু বলার নেই। এরপএ কমেন্ট বক্সেও অনুরাগীরা ঐন্দ্রিলার দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা জানিয়েছেন।