করুণাময় সিংহ, মালদা: কংগ্রেস আব্বাস সিদ্দিকির হাত ধরেনি। খারাপ ফলের ভয়ে ওদের হাত ধরেছে বামেরা। আমরা এটা পছন্দ করিনি। তবে ভোট-পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি তেমন দাঁড়ালে কংগ্রেস তৃণমূলকে সমর্থন করবে। ভোটের মুখে বিস্ফোরক দাবি মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ ও কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবু হাশেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু-র। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রর প্রতিক্রিয়া, রাজ্যস্তরে জোট হয়েছে। এই জোটে বাম-কংগ্রেস, আইএসএফ সবাই রয়েছে। সাংসদ কী বলতে চান সেটা স্পষ্ট নয়। তৃণমূলের দাবি, দুশোর বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরব। ভোট-পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত কী হবে তা স্থির করবে রাজ্য নেতৃত্ব। এই জোট-ঘোঁটকে মানুষ মেনে নেবে না। আমাদের রুখতে যে সব দল এক হবে, সেটা আগেই জানা ছিল, প্রতিক্রিয়া বিজেপির। কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেলেও মালদা জেলায় নতুন করে জট তৈরি হল জোটে। তাদের একটিও আসন না ছাড়ায়, নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি। মালদায় মোট বিধানসভা কেন্দ্র ১২টি। এর মধ্যে কংগ্রেস ৯টি ও সিপিএম ৩টি আসনে লড়বে বলে ঘোষণা করেছে সংযুক্ত মোর্চা। 


কিন্তু ফরওয়ার্ড ব্লক আবার দাবি করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল ও মানিকচকে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। মালতিপুরে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলছে আরএসপি।


দুই বাম শরিক নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিলে মালদা জেলায় কংগ্রেসের সঙ্গে চারটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হতে চলেছে তাদের। 


২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটেও  হরিশ্চন্দ্রপুর ও মালতিপুরে চতুর্মুখী লড়াই হয়। তবে দুটি আসনেই শেষপর্যন্ত জিতেছিল কংগ্রেস।


সেই উদাহরণ সামনে রেখে দুই বাম শরিকের দাবিকে আমল দিতে রাজি নয় কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, গতবার ভোটে লড়ে হেরেছে, শিক্ষা ওরা পেয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা থেকে নতুন করে শিক্ষালাভ করছে না, ওদের সহযোগিতা পাওয়া নৈতিক অধিকার। 


শরিক নয়, এই বিতর্কে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, এই সমস্ত আলোচনা রাজ্য স্তরে হয়েছে, জেলা স্তরে কখনও হবে না, আমাদের রাজ্য নেতৃত্ব বসে ঠিক করেছে, আশা করছি ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করব।


২৬ ও ২৯ এপ্রিল মালদার ১২টি আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে।