সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:  পার্টি অফিসের চেয়ার ভাঙলে পুলিশের মাথা ভেঙে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা কাজল সিন্হা। 


গতকাল বিলকান্দা এলাকায় কর্মিসভায় বক্তব্য রাখছিলেন খড়দার তৃণমূল প্রার্থী। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাইক হাতে সমর্থকদের মাঝে বক্তব্য রাখছেন কাজল সিন্হা। 


সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, "আগামী দিনে আমার পার্টি অফিসের একটা চেয়ারও যদি ভাঙে তাহলে পুলিশের মাথা ভেঙে দেব। আমার ছেলেরা মার খাবে আর আমি চুপ করে বসে থাকব, এত ভাল লোক আমি নই। পুলিশকে মনে রাখতে হবে ২ মে-র পর নির্বাচন কমিশন থাকবে না।" 


অনুব্রত মণ্ডলের সুরে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার ওই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ফুটেজ নিয়ে ইতিমধ্য়েই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


"ফুটেজ দিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করব", এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।


পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নেমে পড়ে দল।  তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, মাথা গরম হয়ে যাওয়ায় এমন মন্তব্য করে ফেলেছেন কাজল। 


এদিকে, খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর ক্ষমাপ্রার্থনা চান তৃণমূল প্রার্থী। 


এর আগে, ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে হুমকি দিতে শোনা গিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি অঞ্চল তৃণমূল কমিটির চেয়ারম্যান একরামুল হককে। 


ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "কোনও পোলিং এজেন্ট থাকবে না বিরোধীদের, আমরাই থাকব। থাকতে দিব না বিরোধীদের। ২০টা বুথে আমাদের ২০ হাজার ভোট যেভাবেই হোক লিড দিতে হবে।’’


সূত্রের খবর, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নারায়ণপুর এলাকায় দলের কর্মিসভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।  ভিডিও ঘিরে বিতর্ক শুরু হওয়ায় সাফাই খাড়া করেছেন তৃণমূল নেতা। বলেন, আমি এভাবে বলতে চাইনি। আগে এখানে বিরোধীশূন্য ছিল। তারপরেও যদি কেউ দিতে চায় কোনও অসুবিধা নেই।


এনিয়ে তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিষয়বস্তু কমিশনকে জানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় বিজেপি। কংগ্রেস জানায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে বুথ দখল করেছিল এবারও সেই পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী।