কলকাতা: অভিনেত্রী পল্লবী দে-র (Pallavi Dey)-র মৃত্যু ঘিরে যেন ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক ও পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। আর এবার পল্লবীর পরিবারের প্রশ্ন, সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন পল্লবী, কিন্তু ওই উচ্চতায় ওঠার মতো কোনও আসবাব ছিলই না ঘরে!


পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, ' পল্লবী সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলেন, কিন্তু সেই ঘরে সিলিং অবধি পৌঁছনোর মতো কোনও চেয়ার, টেবিল বা অন্যান্য সামগ্রী ছিল না। তবে নিজের গলায় নিজে ফাঁস দেওয়ার জন্য কি করে সিলিং অবধি পৌঁছলেন পল্লবী? তাঁকে মৃত্যুর পরে প্রথম দেখে তাঁর লিভ ইন পার্টনারই। মৃতদেহ নামানোর পর পল্লবীরই ফোন থেকে তাঁর মা-কে ফোন করেন সাগ্নিক। সেই ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, পল্লবী অচৈতন্য হয়ে গিয়েছে।'


আরও পড়ুন: Arunita Pavandeep: রসগোল্লার স্বাদ, ঠোঁটে বাংলা গান, অরুণিতার সঙ্গে কলকাতায় এসে 'বাঙালি বাবু' পবনদীপ


অভিনেত্রী পল্লবী দে-র রহস্যমৃত্যু ঘিরে আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, 'কয়েক বছর আগে পল্লবীরই এক বান্ধবীকে বিয়ে করেছিলেন সাগ্নিক। রেজিস্ট্রি ম্যারেজের সাক্ষী হিসেবে সই করেন পল্লবী।' তাঁদের আরও দাবি, বছরখানেক পর সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন সাগ্নিক। অভিযোগ, তারপরই পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেন তিনি। 

‘প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার জয়েন্ট ফিক্সড ডিপোজিট ছিল পল্লবী-সাগ্নিকের। পল্লবীর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নমিনি সাগ্নিক। সাগ্নিক ও তাঁর বাবার নামে ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাট কেনা হয় নিউটাউনে। সেই ফ্ল্যাটের ৮০ লক্ষের মধ্যে ৫৭ লক্ষ দিয়েছিলেন পল্লবী।  তাও ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন সাগ্নিক ও তার বাবার নামে। নিয়মিত মোটা অঙ্কের টাকা পল্লবীর কাছ থেকে নিতেন সাগ্নিক। পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসে সাগ্নিকের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করা হত বলে অভিযোগ। পল্লবীর থেকে টাকা নিয়ে দামি গাড়িও কেনেন সাগ্নিক। ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনায় বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন পল্লবী।’ অভিযোগ পল্লবী দে-র পরিবারের।