কলকাতা: শহরের বুকেই সেজে উঠেছে একটুকরো রাজস্থান, চিতোর। রাজপ্রাসাদের অলিন্দ থেকে শুরু করে তলোয়ার, গয়না, সবকিছুই যেন এক্কেবারে আসল। আর সেট জুড়ে সেজে উঠছে 'শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা'-র গল্প। স্টার জলসায় সদ্য শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক। আর সেই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র অর্থাৎ 'মীরা'-র ভূমিকায় দেখা যাবে দেবাদ্রিতা বসুকে। ছোটপর্দায় 'জয়ী'-কে নতুন ভূমিকায় দেখতে অপেক্ষা করছেন দর্শকরাও।
কেমন ছিল দেবদৃতা থেকে মীরা হয়ে ওঠার গল্পটা? অভিনেত্রী বলছেন, 'প্রথমবার এমন একটা ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করছি। ভীষণ ভালো লাগছে, আকর্ষণীয় লাগছে। এখনকার দিনে কেউ যদি একটা বিমূর্ত ভাবকে ভালোবাসে, লোকে তাকে পাগল বলবে। কিন্তু সেই সময় দাঁড়িয়েও মীরার মধ্যে একটা জেদ ছিল। যে যাই বলুক, আমি কৃষ্ণকেই ভালোবাসব। মীরার এই জেদের জন্যই তিনি আজও সবার মনে অমর। ফ্লোরে ঢুকেই আমি একটা অন্য জগতে চলে যাই। বাড়িতেও নিজেকে তৈরি করছি। তবে আমার খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। কারণ ছোটবেলা থেকেই আমিও কৃষ্ণভক্ত।'
'শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা' ধারাবাহিকের প্রধান উপদেষ্টা শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, 'যখন স্টার জলসার তরফ থেকে আমার কাছে এই ধারাবাহিকের কথা বলা হয়, তখন প্রথমেই মনে হয়েছিল, বহুদিন বাদে দর্শক ছোটপর্দায় ইতিহাসের গল্প ও রাজস্থান দেখবেন দর্শক। আধুনিক মেয়েরা নিজেদের পরিচিতি তৈরী করার চেষ্টা করেন, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে, পেশাদারিত্বের মঞ্চে ঝলসে ওঠে তাঁদের প্রতিভা। মীরা সেই সময় দাঁড়িয়েও নিজের পরিচিতি তৈরী করার চেষ্টা করেছিলেন। চিতোরের দুর্গ থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে তিনি বৃন্দাবন পৌঁছে গিয়েছিলেন। এমন কোনও অত্যাচার নেই যেটা মীরাকে সহ্য করতে হয়নি।'
গবেষক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলছেন, 'সংসারের মধ্যে থেকেও মীরার কৃষ্ণপ্রেমের অন্বেষণ অসাধারণ। মীরার কৃষ্ণপ্রেম একতরফা ছিল না, জীবনদের প্রত্যেকটা পদে মীরার সঙ্গ দিয়েছেন কৃষ্ণ। এখানে যেভাবে সেট তৈরী হয়েছে, ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে সবটা ধরা হয়েছে, ভীষণ বাস্তব মনে হচ্ছে সবকিছু। ছোট ছোট এই জিনিসগুলো একটা বড় জিনিস তৈরীর পথে খুব গুরুত্বপূর্ণ।'