আগরতলা: আগরতলার হোটেলে থাকা টিম পিকে-এর সদস্যদের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। খবর তৃণমূল সূত্রে। এদিকে, আজই ত্রিপুরায় পৌঁছেছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, রবিবার রাত থেকে পূর্ব আগরতলায় একটি হোটেলে পিকে-র টিমের সদস্যদের আটকে রাখা হয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশ তাঁদের বাইরে বের হতে দিচ্ছে না। ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, টিম পিকে-এর সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোয় করোনা বিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে।


বিমানবন্দরে নেমে ব্রাত্য বসু বললেন, ত্রিপুরায় খেলা শুরু হয়ে গেছে। গোটা ভারতের মতো ত্রিপুরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।  


তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল সাংবাদিক বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলের  সদস্যরা এর আগে  টিম পিকে-এর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। যে হোটেলে টিম পিকে-র সদস্যরা রয়েছেন সেখানে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দলের প্রতিনিধি দল পৌঁছতেই তৃণমূল কর্মীদের জমায়েত হয়। সেই জমায়েত সরিয়ে দেয় পুলিশ।


এদিকে, কোভিড বিধি ভাঙার অভিযোগে পিকে-র দলের সদস্যদের তলব করল পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ। ১ অগাস্ট পিকে-র সদস্যদের থানায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


উল্লেখ্য,  ত্রিপুরায় আইপ্যাক-এর সদস্যদের আটক রাখার অভিযোগের  ঘটনার কড়া নিন্দা করেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচন তো এখন দেরি আছে, কিন্তু প্ল্যানিংতো এখন থেকেই করতে হয়। ত্রিপুরায় আমাদের ছেলেদের হাউস অ্যারেস্ট করেছে। এটা ঠিক নয়।


ব্রাত্য বসু গতকাল বলেছিলেন,  আইপ্যাকের ছেলেদের যেভাবে সরকার আটকে রেখেছে, সেই অবস্থা ভাল নয়। অবস্থা অগ্নিগর্ভ। যেভাবে গণতন্ত্র লুঠহচ্ছে, সেটা দেখার জন্য আমরা কাল যাচ্ছি।


ঘটনার নিন্দা করেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী   মানিক সরকারও। তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে সেটা শুধু অরাজকতা না, জঙ্গলের শাসনকেও ছাড়িয়ে গেছে। একটা ভীতি তৈরি হয়েছে। কারণ, জনগণ আর সরকারের পাশে থাকছে না। পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে।