কলকাতা: হয় মধু সংগ্রহ আর না হয় মাছ। সুন্দরবনের জীবিকা মধ্যে এই দুইই প্রধান। কিন্তু এই দুই জীবিকার মানুষদেরই পদে পদে জড়িয়ে রয়েছে বিপদ। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে পুজিত হন নারীশক্তি। বনবিবি। বিশ্বাস, এই দেবীকে পুজো করে তুষ্ট রাখতে পারলে তিনি জেলে ও মৌয়ালদের সুরক্ষিত রাখেন। হিন্দু ও মুসলিম, দুই ধর্মের মানুষের কাছেই পুজিত হন বনবিবি। সেই প্রচলিত লোককথাকেই সিনেমার পর্দায় তুলে আনছেন পরিচালক রাজদীপ ঘোষ। 


ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন পার্নো মিত্র। অন্নপূর্ণা বসু ও রোহিত সৌম্যর সংলাপে নির্মিত ‘বনবিবি’-র প্রযোজনা করছেন সায়নদীপ ধর। সুন্দরবন এবং সংলগ্ন অঞ্চলে চলছে ‘বনবিবি’-র শুটিং চলছে। ছবিতে পার্নো একজন বিধবা, থুড়ি ‘বাঘ-বিধবা’। গল্পের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, বছর তিনেক আগে জীবিকার কাজেই বাইরে গিয়েছিলেন পার্নো ওরফে রেশম -এর স্বামী। আর ফেরেননি। শোনা যায়, তাঁর স্বামীকে বাঘে নিয়ে গিয়েছে। তাঁর মৃতদেহ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর সুন্দরবন এলাকাতেই যে গাইডের কাজ করেন রেশম। যে সমস্ত পর্যটক সেখানে ঘুরতে আসে, তাঁদের সুন্দরবন ও আশেপাশের অঞ্চল ঘুরে দেখানোই তাঁর কাজ। গল্পে রেশমের জীবনে যেমন সংগ্রাম রয়েছে, তেমন রয়েছে প্রেমও। পার্নোর বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে আর্য দাশগুপ্তকে। একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছেন সোহিনী সরকার। 


বনবিবির যাত্রাপালায় বেশ কিছু গান ব্যবহার করা হত। ছবির মিউজিকেও তাই থাকছে চমক। 'বনবিবি'-র সুরের দায়িত্বে রয়েছেন সৌম্যদীপ শিকদার। তিনি নিজেও এই ছবিতে গান গাইবেন। এছাড়াও সোমলতা আচার্য চৌধুরী, সাহানা বাজপেয়ীর মতো শিল্পীদেরও গান থাকবে ছবিতে।


এর আগে প্রিয়ঙ্কা সরকার ও সোহম চক্রবর্তীকে নিয়ে 'কলকাতার হ্যারি' ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন রাজদীপ। অন্যদিকে সক্রিয় রাজনীতির থেকে দূরে সরে এসে রুপোলি পর্দাতেই মন দিয়েছেন পার্নো। করোনা পরিস্থিতির পর 'রেশম'-এর হাত ধরেই টলিউডে ফিরছেন তিনি।