তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: ছোটপর্দার চরিত্রে নয়, তিনি কৃষ্ণভক্ত ব্যক্তিগত জীবনেও। আর তাই, দোল আসলেই তাঁর মন পড়ে থাকে বৃন্দাবনে। কৃষ্ণভূমির দোলের আমেজেই যেন রঙিন হয়ে ওঠে তাঁর মন। ২০২৩-এর শেষে ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় পা রেখেছেন তিনি, জনপ্রিয়তাও পেয়েছেন। দেবের নায়িকা হওয়ার পরে, এই প্রথম দোল তাঁর। কীভাবে কাটবে এই বছরের রঙের উৎসব? এখনও মনে পড়ে ছোটবেলার দোলের স্মৃতি? এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে রঙিন আড্ডায় মজলের সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu)। 


ছোটবেলা থেকেই নাচ শিখেছেন সৌমিতৃষা। আর তাই, রঙের উৎসব শুরু হত বসন্ত-সাজে। সৌমিতৃষা বলছেন, 'দোল মানেই হলুদ শাড়ি পরে সকালবেলা প্রভাতফেরি। ছোটবেলার দোল বলতে প্রথমেই মনে পড়ে সেই রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে নাচ। তারপরে অবশ্য বাড়ি থেকে বেরনোর আর অনুমতি ছিল না আমার। বাড়িতেই আত্মীয়-পরিজনেরা আসতেন। ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে, বাড়িতেই হোলি খেলা হত। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে আমার ভীষণ বন্ধুত্ব। তাই ওঁদের সঙ্গেই রঙের উৎসব পালন করতাম। বড় হয়ে বৃন্দাবনের হোলি দেখেছি। তবে ছোটবেলায় তো সেই সুযোগ ছিল না।'


বাঙালি বাড়ির উৎসব মানেই তো খাওয়া-দাওয়া। সৌমিতৃষা বলছেন, 'দোলের দিন বাড়িতে নিরামিষ রান্না হত। মায়ের হাতের রান্না আমার চিরকালই ভীষণ প্রিয়। লুচি, ছোলার ডাল, পনির, আলুর দম, এঁচোড়.. এই সব মেনুতে থাকবেই। সবকটাই আমার ভীষণ প্রিয়। আর হ্যাঁ.. ছোটবেলায় দোল মানেই সারা বছরের পড়াশোনার চাপের মধ্যে ৩ দিনের একটা ছুটি। বাড়িতে থাকতে পারব এটাই আনন্দের ছিল ভীষণ।'


ছোটবেলা বদলেছে, পরিস্থিতিও বদলেছে। সৌমিতৃষা এখন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এখন কোনও পরিবর্তন এসেছে রঙের উৎসব উদযাপনে? অভিনেত্রী বলছেন, 'প্রথমদিকে যখন ধারাবাহিকে অভিনয় করতাম, একবারই দোলে বেরিয়েছিলাম ওখানকার বন্ধুদের সঙ্গে। তখন অবশ্য বয়স অনেকটাই কম। বাবা-মা ভীষণ বকাবকি করেছিল। তারপর থেকে আর বেরনো হয়নি। আমার দোল বাড়িতেই কাটে, পরিবারের সঙ্গে। ঠাকুরের পায়ে আবির দিই প্রতিবার। আমার কাছে দোল মানে একটা ছুটির দিন.. একটু বিশ্রাম। আর শ্যুটিং থাকলে অল্পবিস্তর আবির মাখা হয়ে যায়।'


আরও পড়ুন: Anurag Kashyap: ১০ মিনিট দেখা করতে লাগবে লাখ টাকা! নিজের দর বেঁধে দিলেন অনুরাগ কশ্যপ


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।