নয়াদিল্লি: বলিউডে 'পাপারাৎজি' প্রথা (Paparazzi Culture) এখন ট্রেন্ডিং। কোনও তারকার জন্মদিনের পার্টি (Birthday Party) হোক বা বিয়ের অনুষ্ঠান, জিমের বাইরে হোক বা বিমানবন্দরের (airport) পথে, তারকাদের প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট অনুরাগীদের কাছে পৌঁছে দিতে সর্বত্র হাজির হয়ে যান পাপারাৎজিরা। এবার সেই প্রথার বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। গতকাল আলিয়া ভট্টের (Alia Bhatt) অভিযোগের ভিত্তিতে কী বললেন বলিউড সুন্দরী সুস্মিতা সেন?


ক্ষুব্ধ সুস্মিতা সেন, পাশে দাঁড়ালেন আলিয়ার


সোশ্যাল মিডিয়ায় সোজাসুজি বক্তব্য রাখতেই পছন্দ করেন সুস্মিতা সেন। গতকাল আলিয়া ভট্ট তাঁর ইনস্টাগ্রামে অভিযোগ করেন 'ব্যক্তিগত পরিসরে হস্তক্ষেপ'-এর (invasion of privacy)। এবার সেই প্রেক্ষিতে একটি নোট শেয়ার করলেন সুস্মিতা সেন। হুমা তনবীরের (Huma Tanweer) লেখা সেই নোটের মূল বিষয় 'গোপনীয়তা' আসলে 'কথার কথা'। 


গতকাল বাড়ির বারান্দায় ব্যক্তিগত সময় কাটানোর সময় চিত্রগ্রাহকদের ক্যামেরাবন্দি হন আলিয়া ভট্ট। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে 'এক্সক্লুসিভ' তকমা দেওয়া হয়, ইনস্টাগ্রামে মুম্বই পুলিশকে ট্যাগ করে এমনটাই অভিযোগ তোলেন আলিয়া। এবার তাঁর পাশে দাঁড়ালেন সুস্মিতা সেন। তাঁর মতে তারকাদের ক্ষেত্রে 'প্রাইভেসি' অর্থাৎ 'গোপনীয়তা' বা 'ব্যক্তিগত পরিসর' কেবলই কথার কথা। 


তিনি একটি নোট শেয়ার করেন, যেটা লিখেছেন হুমা তনবীর। সেই লেখাতে মূলত বলা হয়েছে মিডিয়া কীভাবে প্রায়ই তারকাদের 'ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের মধ্যের সূক্ষ্ম ব্যবধান মুছে ফেলে'। 


সেই নোটে লেখা আছে, 'ইন্টারনেট, প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে পৃথিবী এখন এমনিই ছোট হয়ে গেছে, গোপনীয়তা একটি মিথ। এবং আপনি যদি একজন তারকা হন তবে আপনার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও খারাপ। পাপারাৎজি কালচার এখন শীর্ষে, লুকিয়ে রাখা যায় এমন কিছু নেই।'


আরও পড়ুন: Taapsee Pannu: ৯ বছরের সম্পর্কের কথা স্বীকার তাপসীর! কবে বিয়ে?


সেখানে আরও লেখা ছিল, 'আরে, তোমরা কারও ছবি বারবার কী করে তুলতে পার যখন সে মিডিয়ার কাছে গোপনীয়তার জন্য বারবার অনুরোধ করছে? আমরা কবে সেই রেখাটা টানতে শিখব? আমাদের গোপনীয়তার অধিকার কোনওভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না। মিডিয়া প্রায়শই ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনের মধ্যে রেখাগুলিকে অস্পষ্ট করে দেয়।' প্রসঙ্গত, গতকালই আলিয়া ভট্টের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেতা অর্জুন কপূর ও আলিয়ার বোন শাহিন ভট্টও। অর্জুন কপূর লেখেন, 'একেবারে নির্লজ্জ। এক নারীর ক্ষেত্রে এটা সমস্ত সীমা লঙ্ঘন যখন সে নিজের বাড়িতেও সুরক্ষিত বোধ করছে না।'