নয়াদিল্লি: বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছে প্রভাস (Prabhas), কৃতী শ্যানন (Kriti Sanon) ও সেফ আলি খান (Saif Ali Khan) অভিনীত 'আদিপুরুষ' (Adipurush)। অগ্রিম বুকিংয়ে (Advance Booking) বেশ ভালই ব্যবসা করে ফেলেছিল এই ছবি। বোঝাই যাচ্ছিল প্রথম দিনের আয় (Box Office Collection Day 1) হবে ভাল। প্রথম দিনের রিভিউতে এই ছবি সমালোচিত হলেও বক্স অফিস কালেকশন যদিও অন্য কথা বলছে। 


প্রথম দিনে কত আয় 'আদিপুরুষ' ছবির?


ওম রাউত পরিচালিত 'আদিপুরুষ' মুক্তি পেয়েছে ১৬ জুন। প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী এই ছবি দেশে প্রথম দিনেই ৯৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। 


একাধিক ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার অনুযায়ী এই ম্যাগনাম ওপাস সবচেয়ে বেশি আয় করেছে তেলুগু বাজারে। সেখানে এই ছবির আয়ের পরিমাণ প্রায় ৫৮.৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে তামিল ও মালয়লম ভাষায় এই ছবি যথাক্রমে ৭০ লক্ষ ও ৪০ লক্ষ আয় করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে হিন্দিতে এই ছবির আয়ের পরিমাণ মনে করা হচ্ছে ৩৫ কোটির কাছাকাছি। 


অন্যদিকে দেশের বাইরেও এই ছবি দুর্দান্ত ব্যবসা করেছে প্রথম দিনে। প্রযোজক ও বিজনেস এক্সপার্ট গিরিশ জোহরের মতে আন্তর্জাতিক বাজারে এই ছবি প্রায় ৩৫ কোটি আয় করেছে। ফলে প্রাথমিক হিসেবে প্রথম দিনের শেষে এই ছবির সব মিলিয়ে আয়ের পরিমাণ ১৩৩ কোটি টাকা। 


 






অন্যদিকে অপর 'বক্স অফিস ইন্ডিয়া'র হিসেব অনুযায়ী, বিদেশের মোট আয়ের পরিমাণ এখনও আসা বাকি। তবে মনে করা হচ্ছে প্রথম দিনে এই ছবি মোট ১৪০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে, যা শনিবার পূর্ণ হিসেব পেলে ১৫০ কোটি টাকাতেও পৌঁছতেও পারে।


 






এতদিন পর্যন্ত ২০২৩ সালে প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা ছবি ছিল 'পাঠান'। আয়ের পরিমাণ ছিল ১০৬ কোটি। তবে এই হিসেব মিলে গেলে, এবার 'পাঠান'কে পিছনে ফেলে শীর্ষে উঠবে 'আদিপুরুষ'। শাহরুখ খানের ছবি মোট ১০০০ কোটি টাকার ওপর ব্যবসা করেছিল। সেই রেকর্ড এই ছবি ভাঙতে পারে কি না, এখন সেটাই দেখার। 


আরও পড়ুন: Split Ends: স্প্লিট এন্ডস কী? চুলের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে? রইল সহজ কিছু টিপস


প্রসঙ্গত, প্রথম দিন শুক্রবার ছিল, এবার শনিবার ও রবিবার, সপ্তাহান্ত পড়ে রয়েছে। সেখানে ব্যবসার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন ট্রেড অ্যানালিস্টরা।


বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য লাভ করলেও এই বহু প্রতীক্ষিত ছবি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এবিপি লাইভের রিভিউ অনুযায়ী, 'শুরুর দিকে ছবিটা তেমন জমাটি লাগে না। ছবির সঙ্গে দর্শকের সংযোগ তৈরি হয় না। কিন্তু হনুমান যখন পর্দায় আসে, তখন থেকে ছবিটা তবুও একটু আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তবে ততটাও না যতটা রামায়ণ ধারাবাহিক আকর্ষণীয় লাগত। কোনও চরিত্রই তেমন করে মন ছোঁয় না যতটা দর্শকের আশা ছিল। আর খারাপ ভিএফএক্স দর্শকের আকর্ষণ কয়েক গুণ কমিয়ে দেয়। যদি এত টাকা খরচ করে যদি এত খারাপ ভিএফএক্স তৈরি হয়, তাহলে ভাবতে অবাক লাগে সেইসময়ে রামানন্দ সাগর কীভাবে এতটা আকর্ষণীয় ধারাবাহিক তৈরি করেছিলেন। কিছু সংলাপ এমনভাবে বলা হয়েছে, যেটা শুনেও অবাক লাগে। ছবির মধ্যে থেকে বিশ্বাসযোগ্যতাকেই কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবিতে যুদ্ধের দৃশ্যগুলি এমনভাবে ফিল্মিং করা হয়েছে যে মনে হচ্ছে জম্বিরা লড়াই করছে। হয়তো এই সমস্ত দৃশ্যে একটা হলিউডের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সেটা করতে গিয়ে বলিউডের ধাঁচও কার্যত গায়েব হয়ে গিয়েছে। ছবিতে অনেকবার শ্রী রামের নাম শোনা ছাড়া আর কিছুই ভাল লাগার নেই।'


এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial