হৃত্বিকের সঙ্গে কাবিল ছবিতে একসঙ্গে কাজও করেছেন ইয়ামি। প্রসঙ্গত, একটি নিউজ চ্যানেলে এই বিতর্কে নিজের বক্তব্য পেশের সময় হৃত্বিক দাবি করেন তিনি কখনও কাজের বাইরে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কঙ্গনার সঙ্গে একান্তে দেখা করেননি। সেই বক্তব্যের স্বপক্ষে তিনি ইয়ামি, রোহিত, রনিতের নাম উল্লেখ করে বলেন, এঁদের কারও সঙ্গেও তিনি কখনও ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করেননি। এরপরই মুখ খুললেন হৃত্বিকের কাবিল-এর সহ অভিনেত্রী।
ইয়ামি তাঁর ফেসবুক পেজে এইপ্রসঙ্গে বিশাল একটি পোস্টও লিখেছেন...
ইয়ামির পোস্টের সারমর্ম হল, তিনি লেখাটি কারও বন্ধু বা সহ-অভিনেত্রী হিসেবে লিখছেন না। বিতর্কে দুপক্ষের কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, দুজনেই ইন্ডাস্ট্রির বড় তারকা। কিন্তু এই ঝগড়ার শুরু থেকেই একপক্ষের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যদিও সম্প্রতি হৃত্বিক মুখ খুলেছেন, কিন্তু তার বহু আগেই লোকে তাঁকে অপরাধী হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান যুগে যেখানে সর্বক্ষেত্রে মহিলাদের সমান অধিকার নিয়ে সওয়াল করা হচ্ছে, সেখানে এমন একটি বিষয়ে শুধুমাত্র মহিলা বলেই তাঁর কথা সঠিক সেটা কেন ভেবে নেওয়া হচ্ছে। সমাজের মানসিকতা, পুরুষ দ্বারা শোষিত নারী। তাই এক্ষেত্রেও সেই ভাবনাকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, মন্তব্য ইয়ামির। তাই ইয়ামির দাবি, প্রত্যেকের উচিৎ সময় দিয়ে পুরো বিষয়টাকে আগে পর্যবেক্ষণ করা। দুপক্ষের দেওয়া প্রমাণ কী বলছে, সেটাও খতিয়ে দেখা। তারপর মতামত দেওয়া।
প্রসঙ্গত, পুরো ঘটনা থেকে এক মহিলা হিসেবে তিনি আতঙ্কিত, সেকথাও জানাতে ভোলেননি ইয়ামি। ইয়ামির আগে এই একই বক্তব্য তুলে পরিচালক-প্রযোজক ফারহাও বলেন, সব জায়গায় মহিলা হওয়ার সুবিধা না নেওয়াই উচিৎ। গতকাল ফারহান আখতার এক খোলা চিঠিতে বলেন, কঙ্গনার মুখের কথায় বিশ্বাস করে সবাই তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা শুনেছেন। কিন্তু বিতর্কে দুপক্ষের কথাই শোনা উচিৎ। না হলে বৈষম্য হওয়া স্বাভাবিক। প্রত্যেকের উচিৎ সমস্ত রকমের ইমোশান, মহিলাদের প্রতি দুর্বল মনোভাব সরিয়ে রেখে, প্রমাণ কী বলছে সেদিকে নজর দেওয়া, মন্তব্য ফারহানের।