কলকাতা: অন্যান্য দিনের থেকে আজকের দিনটা বেশ আলাদা। লাল বেনারসি, লেহঙ্গা, ভারি গয়নায় সেজেছে সরকার বাড়ির মেয়েরা। সাবেকি সাজের ছোঁয়া ছেলেদের পোশাকেও। কারণ? ধারাবাহিক 'এই পথ যদি না শেষ হয়'-এর সেটে পালিত হচ্ছে করবা চৌথ। ঊর্মির উদ্যোগে পরিবারের সবাই সেজেছে নতুন বেশে, শিখছে নতুন ব্রতর নিয়ম! কেবল অন ক্যামেরা নয়, অফ ক্যামেরাও- সেটে চলছে দেদার মজা। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে কী বলছেন কলাকুশলীরা? এবিপি লাইভে দেখে নিন 'এই পথ যদি না শেষ হয়' ধারাবাহিকের অন্দরমহলের গল্প।
ভারি গয়না ও লেহঙ্গায় সেজেছেন পরিবারের সবাই। আর সবচেয়ে বেশি সেজেছেন অবশ্য ধারাবাহিকের নায়িকা খোদ। ঊর্মি সরকার ওরফে অন্বেষা হাজরা। কথা বলতে গিয়ে প্রথমেই তাঁকে বেশ উচ্ছসিত দেখাল সাজ নিয়ে। দর্শকদের প্রশ্ন করে বসলেন, 'কেমন লাগছে আমায় এই সাজে?' তারপর নায়িকা জানালেন, কেবল করবা চৌথ নয়, এই ব্রত পিছনে কী কী ইতিহাস রয়েছে, সমস্তই বিস্তারিত দেখানো হবে এই ধারাবাহিকে। অন্যদিকে নতুন এই ব্রত নিয়ে বেশ উচ্ছসিত ধারাবাহিকের অপর চরিত্র মিনু ওরফে মানসি সিংহ। অভিনেত্রী বললেন, 'এর আগে কোনও বাংলা ধারাবাহিকে এত ঘটা করে করবা চৌথ পালিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে আমরা খুব মজা করে শ্যুটিং করছি। এই শ্যুটিংটা করতে গিয়ে অনেক নতুন নিয়ম জানতে পারছি। ধারাবাহিকেও খুব ভালো সময়ে এই রেওয়াজটা পালিত হচ্ছে। ধারাবাহিকের গল্পে মিনুর জীবনেও ভালোবাসা এসেছে। সুমন।'
কিছুটা বাধ্য হয়েই করবা চৌথে অংশ নিচ্ছেন সাত্যকী ওরফে ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। তাঁর নাকি এই বিষয়ে কোনও মতামতই নেই। ক্যামেরার সামনে বললেন, আমরা সেটের সবাই এই প্রথমবার করবা চৌথ পালন করছি। খুব মজা করে অংশ নিচ্ছি সবাই। কাজ করতে ভালো লাগছে।' অন্যদিকে পর্দার মৃণালিনী মানে পরিবারের ছোট ঠাম্মি সেজেছেন লাল জারদৌসী শাড়িতে। হাসতে হাসতে তিনি বললেন, 'দেখলেন তো আমাদের সাজিয়ে গুছিয়ে কী অবস্থা করেছে। বাড়িতে এখন ঊর্মির জন্য তুলকালাম কাণ্ড হচ্ছে। ওর বক্তব্য, ও আমাদের বাড়ি এসে অনেক নতুন ব্রত শিখেছে। এবার আমাদের ওর থেকে ব্রত শিখতে হবে।' মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিবারের বড় ছেলেও। তিনি আবার ঊর্মির ওপর প্রচণ্ড স্নেহপরবশ। বললেন, 'আমি সাত্যকীর বাবা আর ঊর্মির শ্বশুরমশাই। তবে আমি ঊর্মিকে নিজের মেয়েই মনে করি। সোনা মেয়ে বলে ডাকি ওকে। আর ঊর্মি আমায় নিজের বাবা বলে ডাকে।'
সব মিলিয়ে এখন জমজমাট 'এই পথ যদি না শেষ হয়'-এর অনস্ক্রিন আর অফস্ক্রিনের গল্প।