কলকাতা: ফের আরও এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি ঊর্মি। সাত্যকিকে ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তাকে হুমকি দিয়েছে রিনি। তার কথা না শুনলে সাত্যকীকে আইনের জালে ফাঁসানোরও হুমকি দিয়েছে সে। রিনির কথায় রাজি হয়ে সাত্যকির বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে রাজি হয় ঊর্মি। কিন্তু তাকে জোর করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে সাত্যকি। সে উর্মিকে মনে করিয়ে দেয় যে উর্মি কথা দিয়েছিল তার পরিবার ও তার পাশে দাঁড়াবে। কখনও নিজের কথাকে মিথ্যে প্রমাণিত হতে দেয় না ঊর্মি। সে রিনির সঙ্গে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেয়। রিনিকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানায় ঊর্মি। রিনির বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করে উর্মি কিন্তু রিনি যথেষ্ট প্রমাণ নিয়ে বার বার মিথ্যে প্রমাণিত করতে থাকে ঊর্মিকে। কোর্টে যাওয়ার একদিন আগে রিনিকে ফাঁসানোর ফাঁদ পাতে উর্মি।  তার ফাঁদে কী পা দেবে রিনি? উত্তর দেবে ধারাবাহিকের গল্প। 


আরও পড়ুন: এত কাল পর সম্মান, মোদি সরকারের ‘পদ্মশ্রী’ প্রত্যাখ্যান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের


এর আগে পরিবারে করবা চৌথের আয়োজন করেছিল ঊর্মি। ভারি গয়না ও লেহঙ্গায় সেজেছিলেন পরিবারের সবাই। আর সবচেয়ে বেশি সেজেছিলেন অবশ্য ধারাবাহিকের নায়িকা খোদ। ঊর্মি সরকার ওরফে অন্বেষা হাজরা। কথা বলতে গিয়ে প্রথমেই তাঁকে বেশ উচ্ছসিত দেখাল সাজ নিয়ে। দর্শকদের প্রশ্ন করে বসলেন, 'কেমন লাগছে আমায় এই সাজে?' তারপর নায়িকা জানালেন, কেবল করবা চৌথ নয়, এই ব্রত পিছনে কী কী ইতিহাস রয়েছে, সমস্তই বিস্তারিত দেখানো হবে এই ধারাবাহিকে। অন্যদিকে নতুন এই ব্রত নিয়ে বেশ উচ্ছসিত ধারাবাহিকের অপর চরিত্র মিনু ওরফে মানসি সিংহ। অভিনেত্রী বললেন, 'এর আগে কোনও বাংলা ধারাবাহিকে এত ঘটা করে করবা চৌথ পালিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে আমরা খুব মজা করে শ্যুটিং করছি। এই শ্যুটিংটা করতে গিয়ে অনেক নতুন নিয়ম জানতে পারছি। ধারাবাহিকেও খুব ভালো সময়ে এই রেওয়াজটা পালিত হচ্ছে। ধারাবাহিকের গল্পে মিনুর জীবনেও ভালোবাসা এসেছে। সুমন।'


কিছুটা বাধ্য হয়েই করবা চৌথে অংশ নিয়েছিলেন সাত্যকি ওরফে ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। তাঁর নাকি এই বিষয়ে কোনও মতামতই নেই। ক্যামেরার সামনে বললেন, আমরা সেটের সবাই এই প্রথমবার করবা চৌথ পালন করছি। খুব মজা করে অংশ নিচ্ছি সবাই। কাজ করতে ভালো লাগছে।' অন্যদিকে পর্দার মৃণালিনী মানে পরিবারের ছোট ঠাম্মি সেজেছিলেন লাল জারদৌসী শাড়িতে। হাসতে হাসতে তিনি বললেন, 'দেখলেন তো আমাদের সাজিয়ে গুছিয়ে কী অবস্থা করেছে। বাড়িতে এখন ঊর্মির জন্য তুলকালাম কাণ্ড হচ্ছে। ওর বক্তব্য, ও আমাদের বাড়ি এসে অনেক নতুন ব্রত শিখেছে। এবার আমাদের ওর থেকে ব্রত শিখতে হবে।' মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিবারের বড় ছেলেও। তিনি আবার ঊর্মির ওপর প্রচণ্ড স্নেহপরবশ। বললেন, 'আমি সাত্যকীর বাবা আর ঊর্মির শ্বশুরমশাই। তবে আমি ঊর্মিকে নিজের মেয়েই মনে করি। সোনা মেয়ে বলে ডাকি ওকে। আর ঊর্মি আমায় নিজের বাবা বলে ডাকে।'