কলকাতা: তাঁর গলার মিষ্টি সুর, মন কেড়েছে আট থেকে আশির। প্রায় তিন দশক ধরে ভারতীয় সঙ্গীতের ময়দান যিনি দাপিয়ে শাসন করেছেন, সেই প্রতিভার নাম অলকা ইয়াগনিক। আজ তাঁর ৫৫ তম জন্মদিন। ১৯৬৬ সালে কলকাতার একটি গুজরাতি পরিবারে অলকা ইয়াগনিকের জন্ম হয়।


সেরা মহিলা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে অগুনতি বার ফিল্মফেয়ার পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন আলকা। তাঁকে বলা হত 'কুইন অফ প্লে ব্য়াক সিঙ্গিং'। মাত্র ৬ বছর বয়েসে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান গাওয়ার মাধ্য়মে সঙ্গীতের জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অলকা ইয়াগনিক। তারপর ১০ বছর বয়সে মায়ের হাত ধরে মুম্বই পাড়ি দেন ছোট্ট অলকা।


মুম্বই আসার পর গানকেই সঙ্গী করে বেড়ে উঠলেন অলকা। পায়েল কি ঝনকার (১৯৮০), লাওরিস (১৯৮১),হামারি বাহু অলকা (১৯৮২) এর মতো গানে সাফল্য পেয়েছিলেন অলকা। তারপর তেজাব ছবিতে ইয়াগনিকের "এক দো তিন" গানটি তাঁকে সাফল্য়ের চূড়ায় পৌঁছে দেয়। প্রায় ২০টিরও বেশি ভাষায় গান গেয়েছেন অলকা ইয়াগনিক।


আরও পড়ুন: 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' পরিচালকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তনুশ্রী দত্তর


১৯৮৯ সালে শিলং-এর ব্য়বসায়ী নীরজ কাপুরের সঙ্গে বিয়ে হয় অলকার। তাঁদের একটি মেয়েও আছে। মাঝে চার-পাঁচ বছরের জন্য় আলাদা আলাদা থাকলেও আবার একসঙ্গে থাকাতে শুরু করেন অলকা ও নীরজ। 'ভয়েস অফ ইন্ডিয়া', 'সা রে গা মা পা লিটল চ্য়াম্প'-এর মত বিখ্য়াত শো-এর বিচারকের দায়িত্বে দীর্ঘ সময় ধরে দেখতে পাওয়া গেছে এই সঙ্গীত শিল্পীকে। এখনও পর্যন্ত প্রায় কুড়ি হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন অলকা ইয়াগনিক।


সদ্য প্রয়াত হয়েছেন সঙ্গীতের সরস্বতী লতা মঙ্গেশকর। তাঁর প্রয়াণে অলকা বলেছিলেন,  'এই মুহূর্তে আমি দেশের বাইরে রয়েছি। এতটাই বিধ্বস্ত অনুভব করছি যে, এই মুহূর্তে কোনওরকম কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। এটা আমার কাছে নিজস্ব ক্ষতি। প্রার্থনা করি, প্রিয় দিদি যেখানে গেলেন শান্তিতে থাকুন। যতদিন বাঁচব, ততদিন ওঁর কণ্ঠস্বর, ওঁর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোকে আঁকড়ে ধরে বাঁচব।'