মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডের মাদক যোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কপূরদের পাশাপাশি মাদক যোগে নাম জড়িয়েছে সারা আলি খানেরও। এরপরেই কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে মেয়ে সারার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে অভিনেতা সইফ আলি খানের। যদিও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই খবর অস্বীকার করেছেন শর্মিলা-পুত্র। তিনি দাবি করেছেন, সবসময়ই তাঁর সন্তানদের পাশে আছেন।

কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, বর্তমানে মা অমৃতা সিংহ এবং ভাই ইব্রাহিম আলি খানের সঙ্গে গোয়ায় রয়েছেন সারা। সইফ অবশ্য বলিউডের মাদক-বিতর্ক থেকে দূর থাকতে চাইছেন। মেয়ের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তিনি। এমনকী, মেয়ের এমন মাদক-বিতর্কে জড়ানোর জন্য তিনি নাকি তাঁর প্রথম স্ত্রী তথা সারা-জননী অমৃতাকেই দায়ী করেছেন। কারণ, মেয়েকে সঠিক শিক্ষা দিয়ে বড় করতে পারেননি অমৃতা।

সইফ এই খবর অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেছেন, ‘আমি ওদের পাশেই আছি। আমার তিন সন্তানকেই আমি ভালবাসি এবং স্নেহ করি। তবে এটা ঠিক যে আমি এখন তৈমুরের সঙ্গেই বেশি সময় কাটাই। কিন্তু আমার বড় ছেলে ইব্রাহিম এবং মেয়ে সারার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আমার তিন সন্তান আমার হৃদয়ের তিন জায়গায় রয়েছে। আমি সারাকে কোনওভাবে আঘাত করে, তৈমুরকে নিয়ে ভাল থাকতে পারব না।’

সইফ আরও বলেছেন, ‘ইব্রাহিম ও সারার সঙ্গে রাতে খাবার টেবিলে দীর্ঘ আড্ডা হয় অথবা মোবাইল ফোনে বহু সময় ধরে চ্যাট করি। কিন্তু তৈমুরের সঙ্গে তো ওইভাবে সময় কাটানো সম্ভব নয়। ওকে সঙ্গ দিতে গেলে তো ওর সঙ্গেই থাকতে হবে। আমি সেটাই করি।’

সুশান্তের মৃত্যুর পর মাদকযোগে সারার নাম জড়ালেও, এই অভিনেত্রীর দাবি, তিনি কোনওদিনই মাদক নেননি। যদিও সুশান্তের খুব ভাল বন্ধু ছিলেন। এমনকী তাঁর ফার্ম হাউসেও তিনি গিয়েছেন, সময় কাটিয়েছেন।