জয়ন্ত পাল ও  সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: ফের শিরোনামে রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi Controversy)। বিতর্ক যেন কিছুতেই তাঁর পিছু ছাড়ছে না। এবার গান চুরির (Song Theft) অভিযোগ উঠল সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর বিরুদ্ধে। নিউটাউন থানায় (New Town Police Station) গায়ক ও সুরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন ইউটিউবার (YouTuber) ও গায়িকা মনোরমা ঘোষাল। ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন, সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী।


রূপঙ্কর বাগচীর বিরুদ্ধে গান চুরির অভিযোগ


ঠিক একমাস আগে গায়ক KK-কে নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এবার গান চুরির অভিযোগ উঠল সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর বিরুদ্ধে। গায়ক রূপঙ্কর ও সুরকার পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন মনোরমা ঘোষাল নামে এক ইউটিউবার ও গায়িকা। 


অভিযোগকারী গায়িকার দাবি, মাস ছয়েক আগে সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক দিয়ে সুরকার পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে গানটি কিনে নেন তিনি। এরপর নিজের খরচে গানটির ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করেন। থানায় দায়ের করা অভিযোগে গায়িকার দাবি, তাঁর সেই গান চুরি করেছেন রূপঙ্কর বাগচী।


অভিযোগকারী গায়িকা মনোরমা ঘোষালর দাবি তাঁর কপিরাইট ছিল ওই গানে। তিনি যে গানটি আগে গেয়েছেন ২৫ জুন সেই বিষয়টি রূপঙ্কর বাগচীকে জানান। তা সত্ত্বেও তাঁর গান ইউটিউব থেকে ফেলে দেওয়া হয়। 


ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন, সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। তাঁর দাবি, এবিষয়ে সুরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাই বলতে পারবে। সঙ্গীতশিল্পী জানান, এটা নিয়ে পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় ও যেখান থেকে রিলিজ হয়েছে, তাঁরা বলতে পারবেন। কারণ তিনি যখন কোনও গান গাইতে যান তখন সেটা একটা নতুন গান হিসেবেই গাইতে যান। সেই কম্পোজার বা কোম্পানি কারও কাজ থেকে নিয়েছেন কিনা তা তিনি জানেন না। সেই ক্ষমতা তাঁদের নেই বলেও মন্তব্য রূপঙ্করের। এনিয়ে তিনি বিশেষ কিছু বলতে চাননি।


আরও পড়ুন: Manasi Sinha: 'বাবি'র জন্মদিনে আবেগঘন অভিনেত্রী মানসী সিনহা, পোস্ট করলেন পুরনো ছবি


তবে রূপঙ্করের বক্তব্য, এরকম হয়ে থাকলে তা খুবই অন্যায় হয়েছে। পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কম্পোজারকে জিজ্ঞেস করতে হবে। কারণ পার্থ বা আসানসোলের কোম্পানি তাঁকে কিছু বলেননি। তিনি গানটা রেকর্ড করে চলে এসেছেন। রূপঙ্কর বলেন, 'আজ জানতে পারলাম। আমার কিছু করার নেই। এটা আমার জ্ঞাতার্থে হয়নি।'


অভিযোগকারী গায়িকার দাবি, দ্রুত তাঁর গাওয়া গানটি ফেরানো হোক ইউটিউবে।