কলকাতা: একই কেন্দ্র, একই দিন। কিন্তু তাঁরা ভোট দিতে এলেন আলাদা আলাদা। আজ পশ্চিম অন্ধেরী কেন্দ্রে ভোট দিলেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bacchan), জয়া বচ্চন (Jaya Bacchan) ও ঐশ্বর্য্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। জয়ার রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে, তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করলেও, একসময়ে রাজনীতির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অমিতাভেরও। অন্যদিকে ঐশ্বর্য্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।
১৯৮৪ সালে, নির্বাচনে জয়ী হয়ে, কংগ্রেসকে হারিয়ে এলাহবাদের সাংসদ হয়েছিল অমিতাভ। তবে ১৯৮৭ সালের জুলাই মাসে পার্লামেন্ট ছেড়ে দেন অমিতাভ। অজিতাভ বচ্চন বর্তমানে যুক্ত রাজনীতির সঙ্গে। তবে ভোট দিতে একসঙ্গে আসেননি অমিতাভ-জয়া ও ঐশ্বর্য্য। একসঙ্গে কেন্দ্রে আসেন জয়া ও অমিতাভ। জয়া পরেছিলেন সাদা সালোয়ার কামিজ, সঙ্গে সাদা কালো পাড়ের ওড়না। অমিতাভ পরেছিলেন সাদা কুর্তা-পাজামা, ওপরে বেজ জওহর কোট।
পরে একাই ভোটকেন্দ্রে আসেন ঐশ্বর্য্য, তিনি একটি ডেনিমের সঙ্গে সাদা শার্ট পরেছিলেন ঐশ্বর্য্য। একাই নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেন তিনি। সদ্য কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (2024 Cannes Film Festival) থেকে ফেরেন ঐশ্বর্য্য। তাঁর হাতে চোট ছিল। ঐশ্বর্য্যের হাতে স্লিং-ব্যাগ দেখে অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর কীভাবে আঘাত লেগেছে? তবে আঘাত নিয়ে কখনোই মুখ খোলেননি ঐশ্বর্য্য। তবে শোনা গিয়েছে তাঁর কবজির হাড় ভেঙেছে ও তাঁকে অস্ত্রোপচার করতে হবে। এদিনও ঐশ্বর্য্য স্লিং-ব্যাগে হাত ঢেকেই ভোট দিতে আসেন। সম্ভবত বিশেষ এই দিনটির জন্যই কানের অনুষ্ঠান মিটিয়ে ফিরে এসেছেন ঐশ্বর্য্য।
কানের রেড কার্পেটে হাতে প্লাস্টার করে ব্যান্ডেজ করা থাকলেও, স্লিং ব্যাগে হাত ঢাকেননি তিনি। তবে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে কানের রেড কার্পেটে উপস্থিত থাকায় তাঁর পেশাদারিত্ব প্রশংসিত হয়েছিল। তবে কটূক্তির মুখে পড়েছিল ঐশ্বর্য্যের দুটি পোশাকই। কানের রেড কার্পেটে ২ দিনের, বিশেষ করে দ্বিতীয় দিনের পোশাক নিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন ঐশ্বর্য্য।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।