কলকাতা: গোটা শহর যখন মুখরিত আরজি করের ন্যায়বিচারের ধ্বনিতে, তখন নিজেদের জীবনের নতুন পদক্ষেপের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করলেন মধুজা বন্দোপাধ্যায়। সঙ্গীতশিল্পী, চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের (Anindya Chatterjee) সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করলেন মধুজা। দীর্ঘদিন থেকেই টলিপাড়ায় গুঞ্জন ছিল, অনিন্দ্য ও মধুজার সম্পর্কের বাঁধন আলগা হচ্ছে। অবশেষে সেই গুঞ্জনেই সিলমোহর দিলেন মধুজা। তিনি নিজেও শিল্পী, ছবি আঁকেন, লেখালেখি করেন। তবে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘোষণা করে মধুজার গলায় স্বর, 'জুজুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়নি।'
অনিন্দ্য আর মধুযার এক সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তাকে নিয়েই মুম্বইতে থাকেন মধুজা। সোশ্যাল মিডিয়ায় মধুজা লিখেছেন, অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছে ছিল, ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটোদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালোবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে বাইরে সমান তালে, দীর্ঘ চোদ্দো বছর লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি। তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ এ জুজুকে নিয়ে মুম্বই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি ফিরিয়ে দিল, ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম— বিয়ে মানে ফুল, আলো, যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন। তাই আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য। জানি, অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে— বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!'
এই বিষয়ে অনিন্দ্যকে অবশ্য মুখ খুলতে দেখা যায়নি। তবে মধুজার কথা থেকেই স্পষ্ট, আইনি বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে তাঁদের। আপাতত মায়ের সঙ্গেই রয়েছে অনিন্দ্য ও মধুজার একমাত্র ছেলে জুজু।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।