কলকাতা: বছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। নতুন বছরে প্রবেশের আগে জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খোলা চিঠি লিখলেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chatterjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় করলেন লম্বা একটি পোস্ট। যার মর্মার্থ, জীবনে তিনি যা, এই যাবৎ তিনি যতটা অর্জন করেছেন, সেটুকুর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ।


অনিন্দ্য এদিন নিজের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, 'কখনও কখনও পরিবার ছাড়া আপনার শহরে একা বেঁচে থাকতে গেলে হয়তো আপনি কিছুটা ভেঙে পড়েন এবং যখন আমি আমার বাবা-মাকে বা পরিবারকে সবচেয়ে বেশি মিস করি তখন এসব মনে হয়। যদিও গত ১০-১৫ বছর ধরে আমার হতে গোনা কয়েকজন বন্ধু রয়েছেন, যাঁরা বিপদে আপদে আমার পাশে থেকেছেন।'


এরপর তিনি খোলা চিঠিতে বলতে থাকেন, নিজের অতীতে কীভাবে ধাক্কা খেয়ে আজকের জীবনে ফিরে এসেছেন। কীভাবে একের পর এক নতুন ভাল লাগা, অভ্যেস খুঁজে পেয়েছেন। নিজেকে শক্ত করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো থেকে শুরু করে, সাইক্লিং থেকে শুরু করে নিজেকে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনে অভ্যস্ত করা... পিছন ফিরে তাকালে এই সবকিছুর জন্যই নিজেকে ধন্য মনে করেন অভিনেতা।


 






'নিজের জীবনের শূন্যতা মানুষ বা দামী জিনিসপত্র দিয়ে ভরানোর বদলে আমি নীরবতা ও একাকীত্ব খুঁজছিলাম, সেখানেই তুমি গ্রহণযোগ্যতা, শক্তি ও বুদ্ধি পাবে। ভিড়ের মধ্যে মিশে চিৎকার না করে নিজের মধ্যে আত্মদর্শন খুঁজেছি। আমি কখনও নিখুঁত হওয়ার ভান করিনি কারণ আমি জানি যে আমার অনেক খুঁত ও দোষ আছে।' লিখছেন অভিনেতা।


আরও পড়ুন: Satabdi Roy Update: অভিনয়ে ফিরে আমি আবার নিঃশ্বাস নিতে চাই: শতাব্দী রায়


তবে সব শেষে অভিনেতার দাবি, তিনি সকলের থেকে আলাদা। কেন? সেই উত্তরও দিয়েছেন নিজেই। অনিন্দ্যর কথায়, 'কিন্তু সকলের থেকে আমাকে আলাদা করে কোন জিনিসটা? গতকালের থেকে আজ নিজেকে আরও একটু ভাল করার লাগাতার প্রচেষ্টা আমাকে বাকিদের থেকে আলাদা করে।'


সব শেষে অভিনেতার বক্তব্য, 'এই বছরটা দুর্দান্ত কাটল। সামনের বছরটা আরও ভাল হবে মনে হচ্ছে। কৃতজ্ঞতা পরিস্থিতি নির্বিশেষে তৃপ্তি নিয়ে আসে।' সবশেষে হ্যাশট্যাগে লেখা, 'অ্যালাইভ অ্যান্ড গ্রেটফুল' অর্থাৎ 'জীবিত ও কৃতজ্ঞ'। 


সত্যিই তো! করোনা অতিমারীর দাপটে যখন প্রাণ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, অনিশ্চিত হয়েছে অজস্র মানুষের বেঁচে থাকা, জীবিকা, সেখানে যাঁরা এই বছরটাও সুস্থ কাটিয়ে সামনের বছরে প্রবেশ করছি তাঁদের নিজেদের জীবনের প্রতি খানিক কৃতজ্ঞতা স্বীকার তো করাই যায়! খোলা চিঠিতে সেই বার্তাই কি দিতে চাইলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়?