কলকাতা: লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সিনেমাহল। ঘরবন্দি মানুষের বিনোদন বলতে মোবাইল স্ক্রিন বা ল্যাপটপ। করোনা পরিস্থিতি সামান্য নিয়ন্ত্রণে আসছে মুক্তি পাচ্ছে নতুন ছবি। শুরু হয়েছে শ্যুটিং-ও। 'জোশ' অ্যাপ প্রকাশের অনুষ্ঠানে অনেকদিন পর যেন বন্ধুজের সঙ্গে মুখোমুখি আড্ডার সুযোগ পেলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। নিজের নতুন কাজ ও রুপোলি পর্দার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এবিপি লাইভের সঙ্গে জুড়লেন গল্পও।


একটি নয়, নতুন ৩টি ছবি মুক্তি পাচ্ছে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের। 'মায়া', 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা' ও 'রেডিও'।  তিনটি ছবিরই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনিন্দ্য। বর্তমানে বিনোদন জগতে একটি বড় জায়গা করে নিয়েছে ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলি। বলিউড থেকে টলিউড, প্রথম সারির অভিনেতা অভিনেত্রীরা অনেকেই ঝুঁকছেন ওয়ের সিরিজ বা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির দিকে। অনিন্দ্য বলছেন, 'ওয়েব প্ল্যাটফর্মই ভবিষ্যৎ। যদি কোভিড না আসত, তাহলে হয়তো আরও ৫ বছর সময় লাগত এই সময়টা আসতে। করোনা পরিস্থিতি আমাদের ডিজিটাল দুনিয়ায় আরও ৫ বছর এগিয়ে গেল।' তবে ওয়েব দুনিয়ার কথা বলতে গিয়ে সিনেমার কথাও এড়িয়ে গেলেন না অনিন্দ্য। বললেন, 'এখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, হল খুলছে। আরও ৬ মাসে আশা করছি ৩-৪টে ছবি মুক্তি পাবে। বাংলা ছবিতে বাঁচানোর জন্য বাঙালি দর্শককে সিনেমাহলে আসতেই হবে। নাহলে বাংলা সিনেমা বাঁচবে না।'


অন্যধারার একাধিক ছবিতে অভিনয় করছেন অনিন্দ্য। তবে এমন কোন চরিত্র আছে যেখানে অভিনয়ের সুযোগ পেলে ভালো লাগত। অভিনেতা বলছেন, 'এটা সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়। কখনও কোনও কোনও চরিত্রে মনে গেঁথে যায়। মনে হয়, এই চরিত্রে অভিনের সুযোগ পেলে ভালো হত। তবে সদ্য আমার এক বন্ধু রনি সেন 'ক্যাচস্টিক' বলে একটা ছবি বানিয়েছে। সেই ছবির কোনও চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলে ভালো লাগত।'


ইন্ডাস্ট্রির কোন নায়িকার সঙ্গে অভিনয়ের স্বপ্ন রয়েছে? হাসতে হাসতে অনিন্দ্য বললেন, এখন এমন অনেক নায়িকার সঙ্গে অভিনয় করি, ৭ বছর আগেও যাঁদের দেখে মনে হত, ইস.. এঁদের সঙ্গে যদি একটা সেলফি তুলতে পারতাম। এখন তাঁদের সঙ্গেই অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছি। তখন মনে হয়, এই ৫-৭ বছরের কষ্ট আর লড়াইটা স্বার্থক। নিজেকে বাহবা দিই। আশা করি এখনও যাঁদের সঙ্গে অভিনয় করা বাকি, তাঁদের সঙ্গেও কাজ করার সুযোগ পাব। 


সামনেই কালীপুজো। কী পরিকল্পনা রয়েছে? অনিন্দ্য় বললেন, 'বাড়িতে ৫টা পোষ্য রয়েছে আমার। বাজি ফাটলে ওরা খুব ভয় পায়। ওদের আগলে রাখাটা জরুরী, তাই আমার পুজো বাড়িতেই কাটবে।'