কলকাতা : ত্রিপুরায় ফের তৃণমূলের ওপর হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল। যদিও, বিজেপি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ৩১ অক্টোবর ত্রিপুরায় সভা করতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


সুস্মিতা দেবের গাড়ি ভাঙচুরের পর চারদিন কেটেছে। তার মধ্যেই ফের ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ত্রিপুরার অমরপুর নতুন বাজারে তৃণমূলের কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন কুণাল ঘোষ এবং সুবল ভৌমিক। তাঁদের দাবি, কর্মসূচির জায়গা থেকে দু’কিলোমিটার আগে তাঁদের আটকায় পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে, এই যুক্তি দেখিয়ে কর্মসূচিতে যেতে তাঁদের নিষেধ করা হয়। বিষয়টা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা বেধে যায়।


দিনকয়েক আগে ত্রিপুরায় প্রচার কর্মসূচির মাঝে আক্রান্ত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব সহ কর্মী-সমর্থকদের শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের প্রচার-গাড়ি। আগামী ডিসেম্বর মাসে ত্রিপুরায় পুরভোট, সেই জন্য 'ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল' প্রচার-গাড়িতে জনসম্পর্ক অভিযান শুরু করেছিল তৃণমূল। সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে সেই প্রচার গাড়ি ত্রিপুরার আমতলি বাজারেরে কাছে পৌঁছতে গাড়ির ওপর হামলা হয়। 


তৃণমূলের অভিযোগ, গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় সুস্মিতা দেব সহ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের। সুস্মিতা দেব সহ বাকি তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের আইএসএল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করা হয়।


ঘটনায় ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেনন, 'বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় দুয়ারে গুন্ডারাজ চলছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে আক্রমণ যেন নতুন নজির গড়ছে। রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবকে এভাবে শারীরিকভাবে নিগ্রহ চূড়ান্ত লজ্জাজনক। বিজেপির গুণ্ডারা রাজনৈতিক সন্ত্রাস চালাচ্ছে ত্রিপুরাতে। সময় ঘনিয়ে আসছে, সব উত্তর ত্রিপুরার মানুষই দেবেন।'


যে বক্তব্যের সঙ্গে তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ট্যাগও করে।