মুম্বই: ৩৪ বছরের তরতাজা ছেলেটি আর নেই। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বান্দ্রার আলিশান ফ্ল্যাট থেকে। রবিবাসরীয় সকালে এই খবরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বাণিজ্যনগরী। হতবাক হয়ে গিয়েছিল দেশ। সেই ছেলেটি অন্য কেউ নন, অঙ্কিতা লোখন্ডের একসময়ের ঘনিষ্ঠ মানুষ সুশান্ত সিংহ রাজপুত। খবরটি বিশ্বাস করে ওঠার আগেই চোখের নিমেষে ভাইরাল হয়েছিল প্রিয় মানুষটির মৃতদেহ বের করে আনার দৃশ্য। সুশান্তের দেহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে সকলে শেয়ার করছিলেন। এর থেকে বেদনাদায়ক আর কীই বা হতে পারে? সম্প্রতি ১৪ জুন সকালের সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অঙ্কিতা লোখন্ডে।


সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন অঙ্কিতা। এক সাংবাদিকের ফোনেই ঘুম ভাঙে। জানতে পারেন, 'সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন'। ঘোর কাটতে না কাটতেই তিনি দেখেন, সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছে সুশান্তের মৃতদেহের ছবিতে।

“একটা ভিডিওয় আমি দেখলাম, সুশান্তের মৃতদেহ একটি চাদর দিয়ে চাপা দেওয়া হচ্ছে। সব জায়গায় এক ছবি। লোকজন আমাকে পাঠাতেও শুরু করল। আমি জানি না, এসব ভিডিও কীভাবে তোলা হয়, কীভাবেই বা প্রকাশ্যে আসে, কিন্তু এটাই সত্যি, আমি দেখেছি। প্রথম দু-তিন দিন আমি এইসব দেখতে চাইনি। পরে মনে হল, একবার দেখি, ঠিক কী ঘটেছিল। আমি দেখলাম, সুশান্তের ঘরের পাখা থেকে ঝুলছে একটি সবুজ কাপড়। আর ওর দেহ পড়ে আছে খাটে। এই ছবি তখন ঝড়ের গতিতে শেয়ার হচ্ছে। কে এটা তুলল আমি জানি না, কিন্তু ওর পরিবার ও প্রিয় মানুষদের কাছে এটি খুবই বেদনাদায়ক বিষয়। ”

মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার সেল পরবর্তীতে সুশান্তের মৃতদেহের ছবি ছড়িয়ে পড়া আটকাতে সার্কুলার জারি করে। একাধিক ট্যুইট করা হয় সাইবার সেল থেকে। বলা হয়, এই ছবিগুলি ছড়ানো শুধু কুরুচির পরিচয় নয়, বেআইনিও বটে।
ট্যুইটে লেখা হয় ---

“A disturbing trend has been observed on Social Media platforms by Maharashtra Cyber that pictures of deceased actor Shri. Sushant Singh Rajput are being circulated, which are disturbing and in bad taste”

মহারাষ্ট্র সাইবারের সার্কুলারে বলা হয়, এই ধরনের ছবি শেয়ার করলে কারও বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।




মহারাষ্ট্র সাইবার এও জানায়, যে বা যারা এই ছবি শেয়ার করেছে বা পোস্ট করেছে, তা মুছে ফেলতে হবে। নইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।