কলকাতা: গন্তব্য নেই। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন অনুপম রায়। লক্ষ্য নয়, লক্ষ্যে পৌঁছনোর রাস্তাকেই উদযাপনের গল্প বলে 'মঞ্জিল'। অনুপমের নতুন মুক্তি পাওয়া গান। বাংলার সঙ্গে সঙ্গে এখন নিজস্ব হিন্দি গানের আঙিনাতেও পা রেখেছেন তিনি। 'অ্যাইসি রাতো মে'-র পর দ্বিতীয় হিন্দি অরিজিনালস নিয়ে হাজির গায়ক। সঙ্গে রয়েছে অ্যানিমেশনের চমকও।




একটা মহাকাশযানে সওয়ার ছোট, বড় বিভিন্ন বয়সের মানুষ, এমনকী, একটা ছোট্ট কুকুরও। অনুপম বলছেন, 'ওই অ্যানিমেশনটা আমাদের জীবনযাত্রার রূপক। এক একটা ছবি এক একটা চরিত্র। আমরা সবসময় লক্ষ্যে পৌঁছনোর কথা বলি। কিন্তু আমার মনে হয় সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর রাস্তাটাকেই আমাদের উপভোগ করা উচিত।'



বহুবছর পর এবার কলকাতায় পরিবারের সঙ্গে পুজো কাটিয়েছেন অনুপম। কিন্তু তবুও মনখারাপ গায়কের। বললেন, 'পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেও এবছর পুজোর সেই অনুভূতিটাই পেলাম না। করোনা পরিস্থিতির জন্য সবকিছু এবার অন্যরকম।' কলকাতা থেকেও ঠাকুর দেখা মিস করলেন? 'মাত্র ২ টো ঠাকুর দেখেছি একদিন সবাই মিলে বেরিয়ে। ব্যাস..', অনুপমের গলায় বিষাদ।

নিউ নর্মালে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। সামনে শীতকাল। এইবছর কি দেখা যাবে মিউজিক কনসার্টের চেনা ছবিটা? অনুপম বললেন, 'গানের জগত সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছুটা সময় চাই। একটা দীর্ঘসময় ধরে মঞ্চের মুখ দেখেনি কোনও সঙ্গীতশিল্পী। এই ক্ষতিটা পূরণ হতে সময় লাগবে। এই সবে হাতে গোনা কয়েকটা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে মাত্র।' অনুষ্ঠানের বুকিং নিয়ে কী ভাবনাচিন্তা রয়েছে? কাজ পাওয়ার জন্য পারিশ্রমিক কমাতে রাজি? অনুপম বলছেন, 'অনেক জায়গাতেই কথা চলছে। এখনও পর্যন্ত কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে এমনিতেই একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে সঙ্গীত জগৎ। তাই পারিশ্রমিক কমানোর কথা এই মুহূর্তে ভাবছি না।'



অনেক সঙ্গীতশিল্পীই অনলাইন কনসার্ট করছেন। সেই ধারা থেকে সরে থাকলেন কেন? একটু হেসে অনুপম বললেন, 'অনলাইন কনসার্ট সঠিকভাবে করার জন্য যে পরিকাঠামো দরকার তা এখানে নেই। আমাদের গরীব ইন্ডাস্ট্রি।' আপাতত 'বনি'-র কাজে মন দিয়েছেন অনুপম। সদ্য শেষ করেছেন মরাঠি ছবি 'অবাঞ্ছিত' -এর কাজ। আর সেই সঙ্গে চলছে নিজেকে নিয়ে অনবরত পরীক্ষা নিরীক্ষা। 'গানের ভাষা হিন্দি হলে তা পৌঁছতে পারে আরও বেশি মানুষের কাছে।' সেই মঞ্জিলের সুরেলা পথেই হাঁটছেন অনুপম।