কলকাতা: লাভলি মৈত্র, কাঞ্চন মল্লিক থেকে শুরু করে পরেশরাম দাস.. একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যের জেরে কার্যত অস্বস্তিতে সরকার। বর্তমানে সরকারের তরফ থেকে আরজি কর কাণ্ডে যে কোনও রকম মন্তব্য করা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে সাংসদ-বিধায়কদের। আর এবার, তৃণমূলের একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যের জেরে মুখ খুললেন টলিউডের একাংশ। কী বলছেন তাঁরা?
রাত দখলকে মিথ্যে চক্রান্ত বলে দাগিয়ে দিয়ে কাউকে সেখানে যোগ না দেওয়ার কথা বলেছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল বিধায়ত পরেশরাম দাস। শাসকদলের তো বটেই, সাধারণ মানুষদেরও রাত দখল-এ যেতে বারণ করেছেন তিনি। পরেশরাম দাসের মন্তব্য সম্পর্কে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য বলছেন, 'আমি আগেও এই মন্তব্য শুনেছি। আমার মনে হয় ওঁর তেমন কোনও কাজ নেই। উনি এটাকেই সবচেয়ে বড় কাজ বলে মনে করছেন। এখন সম্ভবত দল থেকেই সবাইকে বলা হয়েছে কেউ যেন এমন কোনও কাজ না করেন যা সাধারণ মানুষের আবেগকে ধাক্কা দেবে। উনি যদি এই প্রছন্ন হুমকি দেওয়াটাকে কাজ বলে মনে করেন এবং এটাকে ওঁর এলাকাতে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁদের ও সাধারণ মানুষকেই এটার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। ওনার দলকেও ভাবতে হবে। ওনার দলকেও নিশ্চয়ই বোঝার মতো মানুষ আছে। তাঁরা ওকে বোঝান যে কথাগুলি উনি বলছেন সেগুলো এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বলার সময় নয়। ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে মানুষ আওয়াজ তুলছে। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলি বলা ভীষণ অসম্মানের। যদি সাধারণ মানুষকে সম্মান অসম্মানের জ্ঞান না থাকে, তাহলে পদে থাকাই উচিত নয়। যে এলাকায় উনি রুল করেন, সেই এলাকাবাসীকে উনি যদি সম্মান না করেন তাহলে ওঁর পদে থাকার অধিকার আছে বলে মনে করি না। বাকিটা ওনার দল বুঝবে আর এলাকাবাসী বুঝবে। উনি এভাবে কাউকে চেপে রাখতে পারবেন নাকি? মানুষের যেটা বলার মানুষ সেটা বলবেই কারণ মানুষের আবেগ জেগে উঠেছে। আন্দোলন তখনই হয় যখন মানুষের হৃদয় আন্দোলন হয়, চিত্ত জাগরিত হয়। আমার মনে হচ্ছে ওঁর লেখাপড়া খুবই কম। চিত্ত যখন জাগরিত হয় তখন মানুষকে হুমকি দিয়ে থামিয়ে রাখা যায় না। এটা ওঁর বোঝা উচিত।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।