কলকাতা: আমাদের জীবনে কত কথাই তো না বলা রয়ে যায়। জমতে জমতে এক সময়ে স্তূপের আকার নেয় একরাশ অভিমান। সম্পর্কে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বাকরুদ্ধ পরিসর। সেই অব্যক্ত নিঃশব্দে আমরা হারিয়ে ফেলি কত প্রিয়জনকে। আর সেটা যদি বাবার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের (Father daughter relationship) মতো ঘনিষ্ঠ হয়, তাহলে?
এরকমই এক কঠিন বাস্তবকে আবর্তিত হতে দেখা যাবে রুপোলি পর্দায়। রোহন সেনের (Rohan Sen) পরিচালনায় আসতে চলেছে 'অপরাজিতা' (Aparajita)। ছবিটি সামাজিক প্রেক্ষাপটে রীতিমতো আয়না তুলে ধরার একটি হৃদয়স্পর্শী কাহিনি। ঘোষণা করা হল ছবি মুক্তির তারিখ। 'অপরাজিতা' প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১১ মার্চ।
বাবা ও মেয়ের মধ্যে কথা না হওয়া এক জটিল অথচ মধুর সম্পর্ক কীভাবে একটি ডায়েরির মাধ্যমে পাতার পর পাতা চলতে থাকে, সেটাই ভেসে উঠবে জীবনের বড় পর্দায়।
অপরাজিতা এক মেয়ে এবং তাঁর বাবার সঙ্গে টানাপোড়েনের সম্পর্কের গল্প। যেখানে মেয়ে বা তার বাবা কেউ কারও সঙ্গে কথা বলে না একই বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও। কোথাও না কোথাও তাদের দুজনের মধ্যেই ইগো কাজ করে, এবং তার পেছনে যুক্তিসঙ্গত কারণও রয়েছে। শুধুমাত্র একটি ডায়েরির মাধ্যমে তাদের দু'জনের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে।
অপরাজিতা একজন স্বাধীন মহিলা। সে এক কর্পোরেট কোম্পানিতে চাকুরিরতা। তার জীবনে এক প্রেমিক আছে। নাম সাহেব। বন্ধুর কাছেই সে তার রাগ, দুঃখ, অভিমান ব্যক্ত করতে পারে। অপরাজিতার বড় দিদি আমেরিকায় থাকেন। সাহেব বা তার দিদি কেউই অপরাজিতার সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক ঠিক করতে পারেনা। তাদের পারিবারিক ডাক্তারও এই প্রজন্মের সামাজিক আর পারস্পরিক দূরত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন। গল্প যত এগোতে থাকে, বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তত জটিল হয়ে উঠতে থাকে। শেষমেশ এই সম্পর্কের পরিণতি কী হয় তাই নিয়েই এই ছবি। এই ছবিতে এমনই বিভিন্ন সাধারণ ঘটনা উঠে আসবে যা অনেকেই হয়তো নিজেদের চারপাশে বা নিজস্ব জীবনে অনুভব করে থাকেন।
আরও পড়ুন: Kangana Ranaut: নাম না করে আলিয়া ও মহেশ ভট্টকে আক্রমণ, বিস্ফোরক মন্তব্য কঙ্গনার
ছবিতে অপরাজিতার চরিত্রে দেখা যাবে তুহিনা দাসকে (Tuhina Das)। তাঁর বাবার চরিত্রে রয়েছেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। তুহিনার প্রেমিকের চরিত্রে রয়েছেন দেবতনু। পারিবারিক ডাক্তারের চরিত্রে রয়েছেন রানা বসু ঠাকুর। তুহিনার দিদির চরিত্রে অমৃতা দে। তিনিই এই ছবির প্রযোজকও। ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অনুপম রায় ও অমৃতা দে। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে কৃষ্ণেন্দু রাজ আচার্য্য।