কলকাতা: একটা কনসার্ট যে এত ঘটনাবহুল হতে পারে, দিয়ে যেতে পারে এত সুখস্মৃতি, তা বোধহয় প্রমাণ করে দিয়ে গেল এই অনুষ্ঠান। কেবল গান নয়, সুর নয়, মাদকতা নয়। তাঁর কথায় তিনি ছুঁয়ে গেলেন রাজনীতি, জীবনবোধ, আবেগ। কলকাতায় অরিজিৎ সিংহ (Arijit Singh)-এর কনসার্ট। গেরুয়া গান নিয়ে বিতর্কের যেমন সপাট উত্তর দিলেন সঙ্গীতশিল্পী, তেমনই মাকে নিয়ে আবেগে ভাসলেন, ধন্যবাদ জানালেন কলকাতাবাসীকে।
কেন? কিছুদিন আগেই মাকে হারিয়েছেন অরিজিৎ। কাজের সূত্রে অরিজিৎতের বর্তমান ঠিকানা মুম্বই হলেও, সঙ্গীতশিল্পীর মা থাকতেন কলকাতাতেই। মৃত্যুর আগে অসুস্থ হয়ে বাইপাসের ধারের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই সময়ে সঙ্গীতশিল্পীর মায়ের রক্তের প্রয়োজন হয়েছিল। সেই প্রয়োজন পূরণ করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন কলকাতার অনেকেই। রক্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু বাঁচানো যায়নি অরিজিতের মা-কে।
এদিন অ্যাকোয়াটিকায় অনুষ্ঠানের মঞ্চে অরিজিতের গলায় শোনা গেল শ্যামাসঙ্গীত.. 'মন রে কৃষিকাজ জানো না..'। শ্রীজাতর প্রথম ছবি 'মানবজমিন'-এ অরিজিতের কন্ঠে শোনা গিয়েছিল এই গান। কনসার্টে এসেও অরিজিৎ এই গান গাইতে গিয়ে বলে ফেললেন নিজের মায়ের কথা। সঙ্গীতশিল্পী এদিন বলেন, 'এই প্রথম কলকাতায় অনুষ্ঠান করছি, মা নেই। এর আগে যখন কলকাতায় অনুষ্ঠান করেছি তখন মা ছিলেন। সেসময়ে আমায় অনেকে সাহায্য করেছেন। আলাদা করে আমি হয়তো সবার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। বড় থেকে আরম্ভ করে ছোট, সবাই পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা মা-কে বাঁচাতে পারিনি। প্রত্যেকটা মানুষেরই চলে যাওয়ার সময় থাকে। কিন্তু সে সময়ে যে সমস্ত মানুষ পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সবাইকে ধন্যবাদ।' করজোড়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান কিংবদন্তি। আর তারপরেই তাঁর মধুর কন্ঠে শোনা যায়... 'মন রে কৃষিকাজ জানো না...'
আরও পড়ুন: Monami Ghosh Birthday: জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন, ব্যাঙ্ককের সমুদ্রতীরে নজর কাড়ছেন মনামী
এদিনের অনুষ্ঠানে গেরুয়া বিতর্ককেও উত্থাপন করেন অরিজিৎ। গেরুয়াকে 'স্বামীজীর রং' বলে উল্লেখ করে মুহূর্তে সমস্ত বিতর্কের উত্তর দিয়ে দেন তিনি।