কলকাতা: দু বছরেরও বেশি সময় ধরে অপেক্ষা, দীর্ঘ গবেষণা, ইতিহাস, অজানা ইতিহাসকে তুলে ধরার দায়িত্ব, গুরুদায়িত্ব.. ৮ এপ্রিল সেই অপেক্ষার অবসান হল। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল 'মহানন্দা' (Mahananda)। সাদা পাঞ্জাবির সঙ্গে সাদায় কালোয় কাঁথা স্টিচের কাজ করা উত্তরীয় যেন অন্য মাত্রা দিয়েছিল পরিচালকের সাজকে। চির পরিচিত শান্ত, সৌম্য মুখে উৎসাহ, আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে কোথাও যেন লুকিয়ে থাকা একটু ক্লান্তির ছাপ। তারই ফাঁকে প্রিয়া সিনেমাহলের ভীড় এড়িয়ে এবিপি লাইভের মুখোমুখি অরিন্দম শীল (Arindam Sil)।
'মহানন্দা'-র ইতিহাস ও অরিন্দম
মুক্তির দিনই ছবি নিয়ে উচ্ছ্বসিত দর্শক। কেমন লাগছে? অরিন্দম বললেন, 'আমাদের সবার অপেক্ষার অবসান। গত ২ বছর ধরে এই অপেক্ষা করে চলেছি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে 'মহানন্দা' নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে। তারপর চূড়ান্ত চিত্রনাট্য, তারপর শ্যুটিং। প্রথম পর্যায়ের শ্যুটিংয়ের পর কোভিডের জন্য কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই ছবিতে এত শিল্পী, এত ডিটেলস ছিল.. সবটা মাথায় রাখতে হয়েছে। ১৯০০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময়কালকে পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে আজ.. উত্তেজনার সঙ্গে সঙ্গে ক্লান্ত লাগছে একটু। গোটা টিমের সবাই.. চলচ্চিত্রের প্রত্যেক বিভাগের যাঁরা যত্ন নিয়েছেন, খাটুনি করেছেন..এখন সবটাই দর্শকদের হাতে।'
'ভালো জিনিসকে বাঙালি এখনও মর্যাদা দেয়'
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে সেরা প্রতিক্রিয়া কোনটা? অরিন্দম বললেন, 'আমাদের প্রাক্তন জেনারেল অ্যাডভোকেট জয়ন্ত মিত্র বেরিয়ে বললেন যে, 'ইতিহাস দেখছি.. যে ইতিহাস আমরা জানি না, আমাদের পড়ানো হয় না।' আসলে আমাদের দেশে যে ইতিহাস পড়ানো হয় তা খুব ওপর ওপর। আসল ইতিহাস আমরা জানতে পারি না, আমাদের পড়ানো হয় না। মহাশ্বেতা সেই ইতিহাস বহন করেন। সেই ইতিহাসের সঙ্গেই মহাশ্বেতা দেবী নিজের জীবন চালনা করেছেন। সেইজন্যই মহাশ্বেতা অনুপ্রেরণা, আদর্শের কাহিনী। আমি চেষ্টা করেছি যাতে সেই ইতিহাসকে তুলে ধরতে গিয়ে যাতে কোনও বিচ্যুতি না ঘটে।'