কলকাতা: 'বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান'। প্রায় প্রত্যেক বাংলা ছবির প্রচারেই উঠে আসছে এই কথা। কোথাও গিয়ে কী কঠিন হয়ে পড়ছে বাংলা ছবির লড়াই? করোনা পরিস্থিতির পরে একের পর এক বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে। একই দিনে একাধিক ছবি মুক্তি পাচ্ছে বা পেয়েছে, দেখা গিয়েছে সেই উদাহরণও। একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে বাংলা ছবিকে? এবিপি লাইভে এই বিষয়ে মুখ খুললেন পরিচালক অরিন্দম শীল (Arindam Sil)।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে অরিন্দমের নতুন ছবি 'তীরন্দাজ শবর'। মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee)। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সত্যিই কি ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে প্রতিযোগিতা বেড়েছে? অরিন্দম বলছেন, 'আমার প্রতিযোগিতা আমার নিজের কাজের সঙ্গে। আমার এই বছর ৬টা ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এতগুলো অন্যরকম কাজ করতে পেরে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। আমার টিম, অভিনেতা-অভিনেত্রী, টেকনিশিয়ান এবং প্রযোজক সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু.. বাংলা ছবি যদি বাংলা ছবির সঙ্গে লড়াই করে, তাহলে বাইরে থেকে আসা ছবিগুলোর সঙ্গে কে লড়বে? আমাদেরই আরও ভাল কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা একটা ২০০ কোটি বা ৩০০ কোটি টাকার ছবির সঙ্গে লড়াই করছে। আমাদের ছবি কিন্তু আড়াই কোটি টাকার। এখন বাণিজ্যিক দক্ষিণী ছবিও দারুনভাবে বাজার ধরে নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যে জোনে দক্ষিণী ছবি কেউ দেখতেন না, সেখানে সকাল ৬টার শো হাউজফুল হচ্ছে। এটা শেখার মত।'
আরও পড়ুন: Arindam Sil Exclusive: শাশ্বতকে সবসময় গোয়েন্দা সহকারী করে সবাই যে সুযোগ হারিয়েছেন, আমি তা চাইনি
কখনও দক্ষিণী ছবির ধাঁচে ছবি করার কথা ভাববেন অরিন্দম? একটু হেসে অরিন্দম বললেন, 'সেইদিন যেন আমার মৃত্যু হয়।'
পর্দায় শবরকে আগেও আনার পরিকল্পনা করেছিলেন এক পরিচালক? অরিন্দম বলছেন, 'প্রথম শবর করার আগে আমি শীর্ষেন্দুবাবু (শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়) (Shirshendu Mukherjee)-এর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তখন একটা কথা জানতে পেরেছিলাম। আমার আগেও শবরকে পর্দায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিলেন আরও এক পরিচালক। কিন্তু তিনি খুব ভুল সময়ে আমাদের ছেড়ে চলে যান। তাই শবর করা হয়নি তাঁর। ঋতুপর্ণ ঘোষ। ঋতুদা দেখে যেতে পারলেন না আমি কেমন 'শবর' করি। এটা একটা আক্ষেপ থেকে যাবে।'