মুম্বই: এখন ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি সার্কিট। করেছেন ‘ইশকিয়া’ ও ‘জলি এলএলবি’-র মত ছবি। কিন্তু অভিনেতা আর্শাদ ওয়ার্সি জানাচ্ছেন, ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ ও ‘সেহর’ ছবির আগে প্রায় ৩ বছর কর্মহীন ছিলেন তিনি। সংসার চলছিল কারণ স্ত্রী মারিয়া গোরেত্তির চাকরি ছিল একটা।

‘তেরে মেরে সপনে’ ছবিতে বলিউডে অভিষেক হয় আর্শাদের। তাঁর অভিনয় উচ্চ প্রশংসিত হয়। কিন্তু আর্শাদ নিজেই জানিয়েছেন, তারপর পরপর দুতিনটি ছবি ফ্লপ করায় ইন্ডাস্ট্রি থেকে কার্যত হারিয়ে যান তিনি। প্রায় ৩ বছর হাতে কোনও কাজ ছিল না। উপার্জনের জন্য ছোটখাট নানা কাজ করতেও বাধ্য হন তিনি।

তারপর তাঁর হাতে আসে ‘অ্যায়সা ভি হোতা হ্যায়’, ‘সেহর’ ও অবশ্যই জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’। লোকের মুখে মুখে উঠে আসে সার্কিটের নাম।

কিন্তু আর্শাদ জানিয়েছেন, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজের প্রতিভার ওপর থেকে কখনও বিশ্বাস সরে যায়নি তাঁর। তাঁর কথায়, নিজের কাজ সম্পর্কে ধারণা না থাকলে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা স্বাভাবিক। কিন্তু যদি তা জানা থাকে, তবে আজ বাদে কাল মানুষ স্বীকৃতি দেবেই।



পিছনে বড় নাম থাকার সুবাদে যে সব অভিনেতারা প্রতিভা ছাড়াই ছবির জগতে এসেছেন তাঁদের জন্য খারাপ লাগে তাঁর। কারণ নিজের যেখানে যোগ্যতা নেই, সেই জগতে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে নিজেদেরই বোকা বানান তাঁরা। তাঁদের পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়, তারপর লোকে বুঝতে পারে, তাঁরা একেবারেই অভিনয় ক্ষমতাহীন। এই ধরনের অভিনেতাদের ভয় পাওয়া উচিত। তিনি কখনও ভয় পাননি কারণ প্রথম ছবিতেই বুঝতে পারেন অভিনয় তাঁর কাছে জলের মতন। তিনি এটা করতে পারবেন।



আর সার্কিটের চরিত্র যা তাঁকে জীবনের সেরা পরপর হিট দিয়েছে? আর্শাদ জানাচ্ছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে, চরিত্রটায় কিছু নেই, একটা সাধারণ গুন্ডা ছাড়া সে কিছু নয়। মুন্নাভাইয়ের আশপাশে ঘোরা আর পাঁচটা গুন্ডার মতই, শুধু তাদের থেকে তার ডায়ালগ কয়েকটা বেশি। কিন্তু ক্ষমতা থাকলে সেই চরিত্রেই আপনি প্রাণপ্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। যদি তা না থাকত, তবে লোকে কবেই ভুলে যেত সার্কিটকে!

আর্শাদের আগামী ছবি ‘ইরাদা’, মুক্তি পাচ্ছে ১৭ তারিখ। থ্রিলার এই ছবিতে নাসিরুদ্দিন শাহের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি, যাঁর সঙ্গে ‘ইশকিয়া’ সিরিজ করেছেন।