কলকাতা: ছোটবেলায় লক্ষ্মীপুজো মানেই ছিল, ভাই-বোনেদের সঙ্গে আড্ডা, ভোগ আর তিলের নাড়ু। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই দায়িত্ব বেড়েছে। এখন সকালে উঠেই হাত লাগাতে হয় পুজোর কাজে। এই বছরেই তেমন করেই লক্ষ্মীপুজো কাটছে তাঁর। এবিপি আনন্দর সঙ্গে সেই গল্পই ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী অরুণিমা ঘোষ (Arunima Ghosh)।


কেমন করে লক্ষ্মীপুজোর সকালটা কাটে? এবিপি আনন্দকে অরুণিমা বলছেন, 'প্রতি বছরই মায়ের সঙ্গে হাতে হাতে কাজ করি। তবে মূল আয়োজন করেন মা-ই। ছোটবেলায় লক্ষ্মীপুজো মানেই ছিল বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ভাই-বোনেদের জমায়েত। আমি ভোগ খেতে ভীষণ ভালোবাসি। দুর্গাপুজোর সময় নিয়মিত ভোগ খাই। পুজো শেষ হয়ে গেলে যেন মন খারাপ হয়ে যায়। সেই মন খারাপটাই মিটিয়ে দেয় লক্ষ্মীপুজো। বাড়িতে নিয়মমাফিক ভোগ হয়, সঙ্গে কচুরী।'                                                                                                                                                                                       


সকাল থেকেই স্নান সেরে, গোলাপি শাড়িতে সেজে পুজোর কাজে হাত লাগিয়েছেন অরুণিমা। অভিনেত্রী বললেন, 'আমার কাজ ফুল সাজানো, প্রসাদ গুছিয়ে রাখা এইসব। ছোটবেলার পুজোয় মনে আছে, একবছর ১২টা তিলের নাড়ু খেয়েছিলাম।'


আরও পড়ুন: Om Mimi on Laxmi Puja: 'ছোটবেলায় পাড়ায় আলপনা দিয়ে দিতেন সবার বাড়িতে, বিনিময়ে মিলত ভোগ', গল্পে ওম-মিমি


অন্যদিকে নিজের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেছিলেন অভিনেত্রী মিমি দত্ত। বিয়ের পরে নিজের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো শুরু করেছিলেন মিমি। গতবছর থেকে। এই বছরেও অন্যথা হল না সেই পুজোর। নিজের হাতে সমস্ত আয়োজন করেন মিমি। এবিপি আনন্দকে মিমি বললেন, 'এই পুজোটা আমার হলেও আমার মা, শ্বশুর, শাশুড়ি সবাই উপস্থিত থাকেন। আমায় সাহায্য করেন। ওঁদের সাহায্য ছাড়া এই পুজোটা করা সম্ভব হত না আমার পক্ষে।'