মুম্বই: গত বছর শেষের দিকে মাদক কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল শাহরুখ (Shah Rukh Khan) পুত্র আরিয়ান খানের (Aryan Khan)। ক্রুজ কর্ডেলিয়া থেকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB) তাঁকে প্রথম আটক ও পরে গ্রেফতার করে। আরিয়ান খানের জামিন পাওয়াকে কেন্দ্র করেও চলে দীর্ঘ আইনি জটিলতা। প্রায় এক মাস পর জামিন পান তিনি। মাদক কাণ্ডের সময় থেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে চলে গিয়েছিলেন আরিয়ান। নিজের প্রোফাইল ছবিও রিমুভ করে দেন। সেই ঘটনার পর অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন শাহরুখ পুত্র।
আরিয়ান খানের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট-
সদ্যই নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন আরিয়ান খান। একটি ছবিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছে বোন সুহানা ও ছোট ভাই আব্রামের সঙ্গে। অন্য একটি ছবিতে তিনি এবং ভাই আব্রাম। ছবি পোস্ট করে আরিয়ান লিখেছেন, 'হ্যাট ট্রিক'। তিন সন্তানের ছবি দেখে নিজের উত্তেজনা ধরে রাখতে পারেননি কিং খানও। তিনিও আরিয়ানের সেই ছবিতে কমেন্ট করেছেন। জানতে চেয়েছেন কেন তাঁর কাছে এই ছবিগুলো নেই। এখনই সেই ছবিগুলো তাঁকে পাঠানোর কথাও বলেছেন শাহরুখ। বাবাকে মজার উত্তরও দিয়েছেন আরিয়ান। লিখেছেন, 'পরেরবার আবার যখন ছবি পোস্ট করব, তখন তোমায় পাঠাবো।'
আরও পড়ুন - Raju Srivastava: রাজু শ্রীবাস্তবের সুস্থতা কামনায় বিশেষ পুজোর আয়োজন পরিবারের
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩ অক্টোবর (3 October) মাদক যোগের অভিযোগে ক্রুজ পার্টি থেকে আরিয়ানকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (Narcotics Control Bureau) বা এনসিবি (NCB)। জামিন পাওয়ার সময় শর্ত অনুযায়ী তাঁর পাসপোর্টটি (Passport) জমা রাখা হয়। গ্রেফতারের ২৫ দিন পর আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। পরে তিনি বেকসুর খালাস হন। তারপর পাসপোর্ট ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি। এনসিবি আদালতে জানিয়েছে ‘বেল-বন্ড’ প্রত্যাহার করতে ও পাসপোর্ট ফেরত দিতে তাদের আপত্তি নেই। গত বছর অক্টোবরে কর্ডেলিয়া নামে এক প্রমোদতরী থেকে আরিয়ান খানকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। জিজ্ঞাসাবাদের পর স্টার কিডকে গ্রেফতারও করা হয়। এরপর জামিন পাওয়ার জন্য চলে দীর্ঘ আইনি লড়াই। আইনি জটিলতার কারণে জামিন না মেলায় প্রায় একমাস জেলে কাটাতে হয় শাহরুখ পুত্রকে। এক মাস পর বেশ কিছু শর্তে জামিন পান তিনি। মাদক কাণ্ডে গ্রেফতারির পর মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে এক মাস কাটাতে হয় আরিয়ান খানকে। পরবর্তীকালে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তিনি। এছাড়াও জামিনের শর্ত হিসেবে আরিয়ান খানের পাসপোর্ট জমা রাখা হয়েছিল। প্রতি সপ্তাহে একদিন করে হাজিরার নির্দেশও ছিল তাঁর।