মুম্বই : মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৪২ সালেই শুরু করে দিয়েছিলেন কাজ। কর্ম-কে কার্যত পুজো করতেন প্রয়াত সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। এবার সেই কিংবদন্তির কাজের প্রতি নিষ্ঠার কথা তুলে ধরলেন বোন আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle)। আজ লতা দীননাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চ থেকে এব্যাপারে আলোকপাত করেন তিনি।


আশা বলেন, খুব কম বয়সেই কাজে নেমে পড়েছিলেন। একবার ১০৪ জ্বর উঠেছিল লতাদিদি-র। মা বলেছিল, আজ শরীর খারাপ, শ্যুটিংয়ে যেতে হবে না। কিন্তু, লতা দিদি তখন বলে, না, মা। আমাকে যেতে হবে। অত জ্বর নিয়েও গিয়েছিল, কাজ করেছিল। তখন ওর কাজ ছিল, পরী সেজে ওপর থেকে ঝুলতে ঝুলতে গান গাওয়া। কত কষ্ট করতে হয় একজন শিল্পীকে। আর দিদি সেটা করেছিল। 


আরও পড়ুন ; প্রথম প্রাপক, লতা দীননাথ মঙ্গেশকর পুরস্কারে সম্মানিত প্রধানমন্ত্রী


আজ প্রথম লতা দীননাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয় মুম্বইয়ে। এই পুরস্কার পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের স্মরণে এই পুরস্কার। চলতি বছরেই ৯২ বছর বয়সে মুম্বইয়ে প্রয়াত হন লতা মঙ্গেশকর। ঊষা মঙ্গেশকর, আশা ভোসলে, মহারাষ্ট্র্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশয়ারি, মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ এবং অন্যান্য আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।


পুরস্কার-বিতরণীর মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লতা দিদি আমার বড় দিদির মতো ছিলেন। উনি ছিলেন মা সরস্বতীর রূপ। সঙ্গীত দেশভক্তির শিক্ষা দেয়। আর ওঁর গলায় অ্যায় মেরে বতন কী লোগো- গান দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ভ করে।


মাস্টার দীননাথ মঙ্গেশকর স্মৃতি প্রতিষ্ঠান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। যিনি "আমাদের দেশ, দেশবাসী ও সমাজের প্রতি ছকভাঙা ও দৃষ্টান্তমূলক অবদান রেখেছে।" 


প্রসঙ্গত, আপ্রাণ চেষ্টা বিফল করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেমে যায় সুরঝঙ্কার। প্রয়াত হন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে।