কলকাতা: যেকোনও মরসুমেই ডায়েট নিয়ে সচেতন থাকতে হয় ডায়াবেটিকদের। যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁদের খাওয়া-দাওয়া অনেক বারণ থাকে। বেশি মিষ্টি বা অত্যধিক ক্যালোরিযুক্ত খাবার কোনওভাবেই কেতে পারেন না ডায়াবেটিকরা। ফলে শীত হোক বা গ্রীষ্ম-- খাওয়ার দিকে কড়া নজর রাখতে হয়। গরম এসে গিয়েছে, এই সময় কোন কোন দিকে খেয়াল রাখবে ডায়াবেটিকরা?    


পানীয়তে নজর:
গরম পড়লেই শরীরে জলের চাহিদা বাড়ে। সেই কারণে অনেকেই নানভাবে কার্বোনেটেড পানীয় খেয়ে থাকেন। নানরকম প্রক্রিয়াজাত খাবারও খেয়ে থাকেন। সেগুলোতে নজর দিতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত কোল্ড ড্রিঙ্ক বা প্রক্রিয়াজাত পানীয় রক্তে হঠাৎ করে শর্করা বেড়ে যায়।


ফলের রসে লাগাম:
গরমে বিভিন্ন জায়গায় ফলের রস পাওয়া যায়। তেষ্টা মেটাতে অনেকে খেয়েও নেন। যাঁদের অতিরিক্ত ব্লাড সুগার নেই, তাঁদের সমস্যা না হলেও। যাঁরা ডায়াবেটিক তাঁদের কোনওভাবেই ফলের রস খাওয়া উচিত নয়। ফলের উপকারের থেকে চিনির কারণে ক্ষতি বেশি হবে। এছাড়াও ফলের রসে ফাইবারও মিলবে না।


পর্যাপ্ত ফাইবার:
ডায়াবেটিকদের পর্যাপ্ত ফাইবার খেতে হবে। অর্থাৎ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার পাতে রাখতেই হবে। কারণ, ফাইবার রক্তে শর্করা মেশার গতিতে লাগাম দেয়। রক্তে হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না, যা ডায়াবেটিকদের জন্য় উপকারী। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ক্যালোরি থাকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখবে।


আমে ভারসাম্য:
আমে খুব বেশি মাত্রায় শর্করা থাকে। যা ডায়াবেটিকদের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি আমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও থাকে যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কিন্তু গ্রীষ্মে একেবারে আম বাদ দেওয়াটাও খুব কষ্টের। ফলে ডায়াবেটিকদের খুব সাবধানে আম খাওয়া উচিত। একবারে কোনওভাবেই বেশি আম খাওয়া যাবে না।


সঙ্গে থাকুক জল:
গরমে বাইরে বেরলেই সঙ্গে জলের বোতল থাকুক। হাইড্রেটেড থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ব্লাড সুগার।  প্রয়োজনীয় জল খেলে শরীরের দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হয়।  


সব ধরনের খাবারে নজর:
শরীর সুস্থ রাখতে যা যা পোষক পদার্থ প্রয়োজন সবকিছুই যেন ডায়েটে থাকে। ভিটামিন থেকে প্রোটিন---বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টিপদার্থ থাকলে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বিভিন্ন সব্জি-ফল-মাছ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে হবে।


আরও কোথায় নজর:
রক্তের শর্করা পরিমাপ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর এই কাজ করতে হবে। যাঁরা ইনসুলিন নেন, তাঁরা সেটা ঠান্ডা জায়গায় রাখুন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: দিনের শুরুতেই পাতে থাকুক ফল-সব্জি, দরকার দইও