মুম্বই : প্রথম লতা দীননাথ মঙ্গেশকর পুরস্কার (Lata Deenanath Mangeshkar Award) পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর স্মরণে এই পুরস্কার। চলতি বছরেই ৯২ বছর বয়সে মুম্বইয়ে প্রয়াত হন লতা মঙ্গেশকর।


ঊষা মঙ্গেশকর, আশা ভোসলে, মহারাষ্ট্র্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশয়ারি, মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ এবং অন্যান্য আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


পুরস্কার-বিতরণীর মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লতা দিদি আমার বড় দিদির মতো ছিলেন। উনি ছিলেন মা সরস্বতীর রূপ। সঙ্গীত দেশভক্তির শিক্ষা দেয়। আর ওঁর গলায় অ্যায় মেরে বতন কী লোগো- গান দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ভ করে।


আরও পড়ুন ; 'লতা মঙ্গেশকরকে সম্মান দিতে ব্য়র্থ অস্কার ও গ্র্যামি', বিস্ফোরক কঙ্গনা


মাস্টার দীননাথ মঙ্গেশকর স্মৃতি প্রতিষ্ঠান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। যিনি "আমাদের দেশ, দেশবাসী ও সমাজের প্রতি ছকভাঙা ও দৃষ্টান্তমূলক অবদান রেখেছে।" 


আপ্রাণ চেষ্টা বিফল করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেমে যায় সুরঝঙ্কার। প্রয়াত হন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে।


১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরে জন্ম হয় লতা মঙ্গেশকরের। তাঁর বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন খ্যাতনামা মরাঠী, কোঙ্কনী সঙ্গীতশিল্পী এবং নাট্যশিল্পী। মাত্র ৫ বছর বয়সে বাবার কাছেই গানের তালিম শুরু হয় ছোট্ট লতার। ১৯৪১ সালের ১৬ ডিসেম্বর গায়িকা হিসেবে পথ চলা শুরু হয় লতা মঙ্গেশকরের। ৩৬টিরও বেশি ভাষায় ৩০ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। রেখে গেছেন তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি এবং লক্ষ লক্ষ অনুরাগীকে। একের পর এক সাফল্যের সোপান তিনি পেরিয়ে গিয়েছেন অবলীলায়। হয়ে উঠেছেন ভারতের নাইটিঙ্গল। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বড় হয়েছে তাঁর গান শুনে।


সঙ্গীত জগতের নক্ষত্রপতনে শোকের ছায়া নেমে আসে দেশজুড়ে।