গুয়াহাটি: কয়েক কোটি টাকার অনলাইন ট্রেডিং কেলেঙ্কারিতে (Online Trading Scam) অভিযুক্ত দম্পতির হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পুলিশ আবেদন না করায় বিতর্কিত অসমিয়া অভিনেত্রী সুমি বোরা (Sumi Borah) এবং তাঁর স্বামী তার্কিক বোরাকে আদালত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে (judicial custody) পাঠিয়েছে। সোমবার তাঁদের প্রথম পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত শেষ হয়েছে. মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়। যেহেতু পুলিশ তাঁদের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেনি, তাই দম্পতিকে ডিব্রুগড় সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়েছে।


কয়েক কোটি টাকার অনলাইন ট্রেডিং দুর্নীতির অভিযোগ, ডিব্রুগড় সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হল সুমি বোরা ও তাঁর স্বামীকে


অনলাইন বাণিজ্যে কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। এর আগে জানা গিয়েছিল, অভিনেত্রী তদন্তকারী দলের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। সেই কারণে অনুমান করা হয়েছিল যে পুলিশ তাঁদের হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করতে পারে আদালতের কাছে। কিন্তু আদতে এমন কিছু হল না। 


এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তার কথায়, 'অভিনেত্রী তাঁর আত্মসমর্পণ এবং গ্রেফতারির পর থেকে তদন্ত দলের সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় হয় তিনি কান্নাকাটি করেছেন বা অন্য কোনও উপায়ে প্রশ্নের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিনেত্রী একাধিকবার অসুস্থ বোধ করছেন বলেও জানান। যদিও স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকের দল অভিনেত্রী সুস্থ বলে জানিয়ে দেয়।'


গত সপ্তাহের শুরুর দিকে, পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের আগে সুমি বোরা একটি ভিডিও ছড়িয়ে দেন। সেই ভিডিওয়, অভিনেত্রী উল্লেখ করেন যে তিনি খুব বেশি দিন পুলিশ লকআপে থাকতে পারবেন না, এবং তিনি জেলেই থাকতে চাইবেন। বিপুল পরিমাণ অনলাইন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত অভিনেত্রী জানান যে তিনি পালিয়ে যাননি কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে চলতে থাকা প্রপাগান্ডার জন্য লুকিয়ে ছিলেন। তিনি এও অভিযোগ করেন যে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে এবং যার ফলে তাঁর পরিবারও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অন্যদিকে, সুমি বোরার দেওর অম্লান বোরাকে বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার আদালত তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। 


এই প্রতারণা চক্রের অন্যতম মাথা বিশাল ফুকনকে তাঁর ডিব্রুগড়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করার পর অসমে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার এই অনলাইন ট্রেডিং কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। এই গ্রেফতারির পর অসমিয়া অভিনেত্রী সুমি বোরা পুলিশি স্ক্যানারে আসেন। পুলিশের দাবি, সুমি বোরার অসমিয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির যোগাযোগ অর্থাৎ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিপুল টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে অনলাইন ট্রেডিংয়ের ক্লায়েন্ট জোগাড় করতেন বিশাল ফুকন। 


আরও পড়ুন: Nilanjanaa Post: 'এটা আমাদের একসঙ্গে শেষ ছবি...', সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট নীলাঞ্জনার


এই গ্রেফতারির পর সুমি বোরা ও তাঁর স্বামী পলাতক ছিলেন এবং গত সপ্তাহে অবশেষে তাঁরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।