কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির পরে মনে হয়েছিল মানুষ বোধহয় আর হলমুখী হবেন না। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেই অভ্যস্থ হয়ে পড়বেন নতুন ছবি দেখতে। কিন্তু তা যে হয়নি সেটা প্রথম প্রমাণ করে দিয়েছিল 'স্পাইডারম্যান নো ওয়ে হোম' (Spiderman No  Way Home) ছবিটি। দলে দলে মানুষ এসেছিলেন ছবিটি দেখতে। কিন্তু তখনও সন্দেহের মেঘ কাটেনি বাংলা চিত্রপরিচালকদের মন থেকে। অনেকেই মনে করেছিলেন, হলিউড ছবির টানেই ভিড় জমিয়েছেন মানুষ। কিন্তু বাংলা ছবি? তা কী আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? 


সেই সন্দেহ প্রথম উড়িয়েছিল 'গোলন্দাজ' (Golondaaj) তারপর 'টনিক' (Tonic)। তারপর 'কিশমিশ' (Kishmish), 'রাবণ' (Ravan), তীরন্দাজ শবর (Tirondaj Sobor), হৃদপিণ্ড (Hridpindo) থেকে শুরু করে 'অপরাজিত' (Aparajito), দলে দলে মানুষ এসেছিলেন, প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ হয়েছিল। এরপর 'বেলাশুরু' (Belashuru)। এই ছবিকে ঘিরে উত্তেজনা ছিল আর থেকে আশির মধ্যেই। আর প্রযোজনা সংস্থার থেকে দেওয়া হিসেব বলছে, ১৪ দিনে পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি দেখে ফেলেছেন ৪ লক্ষ দর্শক। কার্যত 'বেলাশুরু' করোনা পরিস্থিতির পরে হলমুখী করল সমস্ত বয়সের দর্শককেই।


আরও পড়ুন: Rupankar: 'কে কে-কে নিয়ে বক্তব্যকে সমর্থন নয়', ক্রেতাদের ভাবাবেগ মাথায় রেখে রূপঙ্করের গাওয়া জিঙ্গল নিয়ে 'ব্যবস্থা নেবে' কেক প্রস্তুতকারক সংস্থা


ছবি সাফল্যে খুশি পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboproshad Mukherjee)। এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বললেন, 'এখনও হাউজফুল (Housefull) হচ্ছে বিভিন্ন হল। অনেক প্রেক্ষাগৃহে হুইল চেয়ার পর্যন্ত রাখা থাকছে। অনেক বয়স্ক মানুষ ওপরে উঠতে পারবেন না বলে হুইল চেয়ারের সাহায্য নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসছেন। কিন্তু বড়পর্দায় ছবি দেখা মিস করছেন না। মানুষের এই আবেগ আমাদের কাছে খুব বড় পাওয়া।'




ইতিমধ্যেই 'বেলাশুরু' কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর, রবিনা টন্ডনও। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই স্ক্রিনশট পোস্ট করে শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করেছে প্রযোজনা সংস্থা 'উইন্ডোজ' (Windows)। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, সারাদেশেই মুক্তি পেয়েছে 'বেলাশুরু'। এমনকি বিদেশের কিছু প্রেক্ষাগৃহেও চলছে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ম্যাজিক।