কলকাতা: পায়ে পায়ে পঞ্চাশ। 'বেলাশুরু' ৫০ দিন ধরে প্রেক্ষাগৃহে রয়েছে, আর এখনও ভিড় জমাচ্ছেন দর্শকেরা। ছবির সাফল্যের আনন্দ উৎযাপনে নবীনা প্রেক্ষাগৃহে জড়ো হয়েছিল টিম 'বেলাশুরু'। নরম কেকের গায়ে ছুরি চালিয়ে একে অপরকে মিষ্টিমুখ, হাসিমুখে সাফল্য উদযাপনে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shibproshad Mukherjee), নন্দিতা রায় (Nandita Roy), ইন্দ্রাণী দত্ত (Indrani Dutta), সুজয় প্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Sujoy Proshad Chatterjee), অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় (Anindya Chatterjee), ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)।
ছবির সাফল্য নিয়ে পরিচালক নন্দিতা রায় বলছেন, 'বেলাশুরু-কে ঘিরে মানুষের এত আবেগ, উচ্ছ্বাসে আমরা আল্পুত।অনেক অপেক্ষার পরে এই ছবিটা মুক্তি পেয়েছে। আমরা চাই এই ছবিটা প্রেক্ষাগৃহে ১০০ দিন চলুক। সেই উদযাপনও এভাবেই করতে চাই।'
আর শিবপ্রসাদ? ছবির সাফল্যে খুশি তাঁরাও। শিবপ্রসাদ বলছেন, 'আমরা ২ বছর অপেক্ষা করেছি এই ছবির মুক্তির জন্য। আর ছবি মুক্তির পর দর্শকদের থেকে এই ভালোবাসা পেয়ে আমরা মুগ্ধ। আশা করি এই ছবিকে দর্শক যেমন ভালোবাসা দিয়েছেন, আগামী দিনেও বাকি সমস্ত কাজকে ততটাই ভালোবাসা দেবেন।'
করোনা পরিস্থিতির পরে মনে হয়েছিল মানুষ বোধহয় আর হলমুখী হবেন না। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেই অভ্যস্থ হয়ে পড়বেন নতুন ছবি দেখতে। কিন্তু তা যে হয়নি সেটা প্রথম প্রমাণ করে দিয়েছিল 'স্পাইডারম্যান নো ওয়ে হোম' (Spiderman No Way Home) ছবিটি। দলে দলে মানুষ এসেছিলেন ছবিটি দেখতে। কিন্তু তখনও সন্দেহের মেঘ কাটেনি বাংলা চিত্রপরিচালকদের মন থেকে। অনেকেই মনে করেছিলেন, হলিউড ছবির টানেই ভিড় জমিয়েছেন মানুষ। কিন্তু বাংলা ছবি? তা কী আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?
সেই সন্দেহ প্রথম উড়িয়েছিল 'গোলন্দাজ' (Golondaaj) তারপর 'টনিক' (Tonic)। তারপর 'কিশমিশ' (Kishmish), 'রাবণ' (Ravan), তীরন্দাজ শবর (Tirondaj Sobor), হৃদপিণ্ড (Hridpindo) থেকে শুরু করে 'অপরাজিত' (Aparajito), দলে দলে মানুষ এসেছিলেন, প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ হয়েছিল। এরপর 'বেলাশুরু' (Belashuru)। এই ছবিকে ঘিরে উত্তেজনা ছিল আর থেকে আশির মধ্যেই। আর প্রযোজনা সংস্থার থেকে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ১৪ দিনে পশ্চিমবঙ্গে এই ছবি দেখে দেখেছিলেন ৪ লক্ষ দর্শক। কার্যত 'বেলাশুরু' করোনা পরিস্থিতির পরে হলমুখী করল সমস্ত বয়সের দর্শককেই।