কলকাতা: শ্যুটিংয়ের শেষ দিন.. গল্পেরও। একটা বগি গোটাটাই কবজা করেছিল টিম 'বেলাশুরু'। ট্রেন চলছে, সঙ্গে শ্যুটিংও। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কবিতা আবৃত্তি করছেন, কেউ গান গাইছে.. কেউ নাচ.. সবটাই তাৎক্ষণিক। আড়াই বছর আগের সেই দিনটা এখন ঝকঝকে পরিচালক নন্দিতা রায়ের (Nandita Roy) মনে। এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সেই স্মৃতিই ফিরে দেখলেন পরিচালক নন্দিতা রায়।
পরিচালক বলছেন, 'শ্যুটিং করতে আমরা শান্তিনিকেতন চলে গিয়েছিলাম। ফেরার সময় ট্রেনের একটা গোটা কম্পার্টমেন্ট বুক করেছিলাম আমরা। সৌমিত্রদা, স্বাতীদি থেকে শুরু করে গোটা স্টারকাস্টটা ছিল সেই সিনে। ক্রু মেম্বাররাও বসে গেল ট্রেনের বাকি যাত্রী হিসেবে। আমাদের শ্যুটিংয়েরও একটা অংশ শ্যুট করার ছিল। ১ ঘণ্টার মধ্যে সেটা শেষ হয়ে গেল। তারপর মনে হল যেন আমরা পিকনিক করতে বেরিয়েছি। কেউ গান গাইছে, কেউ কবিতা পাঠ করছে... সৌমিত্রদা একটা দারুণ কবিতা পাঠ করে শোনালেন। সবটাই তাৎক্ষণিক। প্রত্যেকে নিজেদের মতো করে অংশ নিয়েছিল সেদিন। শিয়ালদা স্টেশনে যখন ট্রেনটা এসে থামল, সবার চোখে জল। সবাই বলছে, আমাদের এই পরিবারটা আলাদা হয়ে গেল! সবাইকে আবার নিজেদের সংসারে ফিরে যেতে হবে..এতদিন কী মজা, আনন্দে ছিলাম।'
আরও পড়ুন: Belashuru Exclusive: অভিনয় শেষ করে স্বাতীলেখা বলতেন, 'সবাই কি খুব নিন্দা করবে আমার?'
'পোস্ত'-র শ্যুটিং শেষ করার সময় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'টিকিটের সঙ্গে সবাইকে একটা করে রুমাল দিও।' নন্দিতা বলছেন, 'ডাবিং শেষ করে সৌমিত্রদা বলেছিলেন, 'প্রত্যেককে একটা করে বাটি দিও। কারণ চোখের জল ধরতে হবে মানুষ এত কাঁদবে।'
নন্দিতা বলে চললেন, 'আমার আফশোস, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে ছবিটি দেখাতে পারিনি। স্বাতীদিকে দেখিয়েছিলাম। স্বাতীদি ছবিটা দেখার পরে খুব কেঁদেছিলেন। শেষে বললেন, 'মুন্না, আমার কিন্তু খুব ভয় করছে। আমি বললাম কেন? উনি বললেন, 'আমার মনে হয় দর্শক আমার ওপর খুব রেগে যাবে! সৌমিত্রদার মতো একজন কিংবদন্তিকে চিনতে পারছে না এই মহিলা...'