কলকাতা: চিত্রনাট্য শোনার ক্ষেত্রে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের (Soumitra Chatterjee) ঠিক উল্টো ছিলেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত (Swatilekha Sengupta)। চিত্রনাট্য শুনে প্রথমটা বেশ ভালোই বলেন তিনি। কিন্তু শ্যুটিং শেষ হওয়ার পরেই গন্ডোগোল। কিংবদন্তি অভিনেত্রী সবসময় নিজের অভিনয় নিয়ে নাকি সংশয়ে ভুগতেন। হামেশাই পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে বলতেন, 'আমার অভিনয়টা ভালো হয়েছে তো রে? সবাই কি খুব নিন্দা করবে আমার? জানি খুব নিন্দা করবে সবাই..'। সেই 'বেলাশুরু'-র সফরের গল্প এবিপি লাইভকে বললেন শিবপ্রসাদ।


কী করে নাটক করব!


প্রথম যখন শ্যুটিংয়ের প্রস্তাব নিয়ে শিবপ্রসাদ আর নন্দিতা রায়, তখন বেশ অবাক হয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আর স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। শিবপ্রসাদ বলছেন, ''ডিসেম্বর মাসে ১৭ দিন শ্যুটিং.. নাটক করব কী করে? এটা ছিল সৌমিত্রদার প্রথম কথা। তারপর বলেছিলেন, তুমি তো গোটা শ্যুটিংটাই বাইরে গিয়ে করছো। এমনও হবে না যে একদিন এসে একটাদিন নাটক করে যাব। স্বাতীদির কথাও একেবারে একরকম। বললেন, 'ওই সময় তো নান্দীকারের নাট্য উৎসব চলবে বাবা..নাটক করব কী করে..'


আরও পড়ুন: Belashuru Exclusive: চিত্রনাট্য শোনা শেষ করে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বললেন, 'আবার ছক্কা'


এখানেই শেষ করলেন না শিবপ্রসাদ। একবার দম নিয়ে বলতে শুরু করলেন, 'আমি দুজনকেই বলেছিলাম, আমি ছাড়ব না। আমায় সময় দিতেই হবে। শ্যুটিং শুরু হওয়ার ৫ মাস আগে বুকিং করেছিলাম। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের লাল ডায়েরিতে ডেট লিখিয়ে বলেছিলাম, আমি আগে বুকিং নিলাম। যে আগে বুকিং নেয়, তাকে কিন্তু সময় দিতে হয়।'


শ্যুটিং শেষে কী বলতেন স্বাতীলেখা?


শিবপ্রসাদ বলছেন, ভাসছেন স্মৃতিতে। বললেন, 'স্বাতীদির সবসময় একটা জায়গা থাকত..স্বাতীদি খালি বলতেন, ' 'আমার অভিনয়টা ভালো হয়েছে তো রে? সবাই কি খুব নিন্দা করবে আমার? জানি খুব নিন্দা করবে সবাই..' চিত্রনাট্য শুনে স্বাতীদির অভিব্যক্তি খুব স্বাভাবিক থাকে। 'হ্যাঁ.. খুব ভালো লেগেছে.. খুব মজা করেছি..এমন'।